১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১২ রজব ১৪৪৬
`

বাংলাদেশের প্রথম ক্লাইমেট সেন্টারের উদ্বোধন

বাংলাদেশের প্রথম ক্লাইমেট সেন্টারের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। - ছবি : নয়া দিগন্ত

গাজীপুরের শ্রীপুরে বাংলাদেশের প্রথম ক্লাইমেট সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সিসিডিবি ক্লাইমেট সেন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

শনিবার (১ অক্টোবর) গাজীপুরের শ্রীপুরে সিসিডিবির নিজস্ব এই সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, সিসিডিবি ক্লাইমেট অ্যাডভাইজারি বডির কো-চেয়ার অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, সিসিডিবি কমিশনের চেয়ারম্যান ডেভিড এ হালদার, সিসিডিবির নির্বাহী পরিচালক মিস জুলিয়েট কেয়া মালাকার, সিসিডিবি ক্লাইমেট অ্যাডভাইজারি বডির সদস্য ড. সালিমুল হক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় পাঁচটি প্রধান বৈশিষ্ট্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নে নিজস্ব ৫৭ একর জমির ওপর স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম ক্লাইমেট সেন্টার যাত্রা শুরু করেছে। বাংলাদেশের প্রধান পাঁচটি পরিবেশগত অঞ্চল- উপকূল, খরাপ্রবণ এলাকা, চরাঞ্চল, পাহাড়ি ও হাওর অঞ্চলকে উক্ত সেন্টারের অন্তর্ভুক্ত ক্লাইমেট পার্কে মডেল হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে। যা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পদ্ধতিগত সমাধানের উপায় প্রদর্শন করে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। একটি জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত অভিযোজন, প্রশমন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সংশ্লিষ্ট ৭০টিরও বেশি সময়োপযোগী ও ব্যবহারোপযোগী প্রযুক্তি প্রদর্শন ছাড়াও ক্লাইমেট সেন্টারে থাকছে- ক্লাইমেট লার্নিং সেন্টার, ডিজিটাল থিয়েটার, এক্সিবিশন জোন, কনফারেন্স হল, লাইব্রেরি, রিসার্চ সেন্টার ও চিলড্রেন লার্নিং জোন; যা জলবায়ু সহনশীল সমাজ গঠনে সহায়তা করবে। ক্লাইমেট সেন্টারে গাইড ট্যুরের ব্যবস্থা থাকছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ। জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা নিয়ে সারাবিশ্ব চিন্তিত। এটার প্রভাব মোকাবেলা করা আমাদের মতো দরিদ্র দেশের জন্য কষ্টসাধ্য। দরিদ্র মানুষেরা ঝুঁকির মধ্যে বেশি।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যপীড়িত মানুষরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ। আর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলো কৃষি খাত। আমাদের জিডিপির একটা বড় অংশীদার হলো কৃষিখাত।

ড. আইনুন নিশাত বলেন, আমাদের সমস্যা হলো গবেষণা করি না। অন্যদেশ থেকে প্রযুক্তি কিনে আনি। উচিত বাইরে থেকে প্রযুক্তি এনে আমাদের জন্য কোনটা উপযুক্ত সেটা গ্রহণ করা। গবেষণা করতে হবে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের নেতিবাচক প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। হঠাৎ করে আরো বাড়বে। তার জন্য কি করণীয় সেটা ভাবতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
শুল্ক হার বাড়ায় মিনিমাম প্রভাব পড়বে জুলাই বিপ্লবে নিহত মাহবুবের পরিবারের পাশে তারেক রহমান সীমান্ত সম্ভারে ৮ মিনিটে দিন-দুপুরে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব : নজরুল ইসলাম খান পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ কেরানীগঞ্জ কারাগারের অস্থায়ী আদালতে চলবে আমানতকারীদের স্বার্থে পর্ষদ সভায় ভূমিকা রাখছেন না স্বতন্ত্র পরিচালকরা এক নারীর শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত সুস্থ আছেন রুগ্ণ প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে নেয়ার এক্সিট পলিসি চান ব্যবসায়ীরা নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান দল ঘোষণা পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী আহত তেল মারা বন্ধ করেন : সরকারি কর্মচারীদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল