১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

‘অশনি’র প্রভাবে উপকূলজুড়ে বৃষ্টিপাত

‘অশনি’র প্রভাবে উপকূলজুড়ে বৃষ্টিপাত - ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে রোববার সকাল থেকে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

সোমবার দুপুরে এটিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে এক হাজার ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে এক হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল বলে আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, জেলেদেরকে ঘূর্ণিঝড় সর্ম্পকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় অশনি সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা পাইনি। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে জেলেদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের লোক মাঠে আছেন; তারা কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছেন এবং সতর্ক বার্তা দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে কৃষকরা ৫০ শতাংশ মুগডাল ঘরে তুলেছেন। বাকি ডাল দ্রুত ঘরে তোলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে এমন বোরো খেতের ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এলাকায় এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, চার নম্বর সতর্কতা সংকেত পাওয়ার পরে আমাদের প্রস্তুতি সভা হবে। তারপরও আমরা ঘূর্ণিঝড় 'অশনি' সম্পর্কে অবজারভেশনে আছি।

এদিকে বৃষ্টির কারণে রবিশস্য নিয়ে বিপদে পড়েছে এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক পরিবার।

গলাচিপা উপজেলার বাউরিয়া এলাকায় কৃষক ইউনুস হাওলাদার বলেন, লোকমুখে অশনির কথা শুনেছি। প্রায় এক-দেড় একর জমিতে ঘরে তোলার উপযোগী পাকা মুগডাল রয়েছে। কিন্তু মজুর সঙ্কটে সেই ডাল ঘরে তুলতে পারিনি। ঘূর্ণিঝড়ে যদি পানি ওঠে, তা হলে সব ডাল ভেসে যাবে।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement