১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে রূপান্তরিত

- ছবি - সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

এদিকে রোববার সকাল থেকে অশনির প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে উপকূলীয় এলাকায় এখনো বাতাসের চাপ কিংবা নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়নি।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমান গতিপথ ঠিক থাকলে এটি ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে। ঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে উপকূলীয় এলাকায়। সেখানে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সাথে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, রোববার সকালে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে এটি কোন সময় কোন এলাকায় আঘাত হানবে সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement