১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

অব্যাহতিপ্রাপ্ত ভিসি মোজাম্মেল হককে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

-


সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর সুনাম, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করার দায়ে সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ১৪টি গুরুতর অভিযোগসহ বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তাদের এ সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেছেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান-সহ সদস্যবৃন্দ। এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সব শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিসি (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান, উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান, কলা, সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সালেহ জহুর, আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: শওকতুল মেহের, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ড. মোজাম্মেল হক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিজয় শংকর বড়ুয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এ এফ এম মোদাচ্ছের আলী, প্রক্টর এস কে হাবিবুল্লাহ, ফার্মেসি বিভাগের প্রধান আইরিন সুলতানা, সিএসই বিভাগের প্রধান জমির আহমেদ, ইইই ও ইসিই বিভাগের প্রধান ফাহমিদা শারমিন জুঁই, ইংরেজি বিভাগের প্রধান আরমান হোসাইন, আইন বিভাগের প্রধান সুরাইয়া মমতাজ, ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ নুরুন্নবী এবং সাধারণ শিক্ষা বিভাগের প্রধান জমির উদ্দিনসহ সব বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
লিখিত বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করার জন্য অধ্যাপক মোজাম্মেল হক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত ভিসি) বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ ও প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্র করছেন। তার প্রতি আনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজ এবং ইউজিসির বিভিন্ন অভিযোগের কোনো লিখিত জবাব প্রদান না করে বিগত সরকারের দোসরদের সহযোগিতায় ও যোগসাজশে তিনি প্রত্যাবর্তনের অনুমতিপত্র বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি কিছু পূর্বতন সুবিধাভোগীকে প্রলোভন দেখিয়ে যাচ্ছেন।

লিখিত বিবৃতিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেসব অভিযোগ তুলে ধরেন তার মধ্যে অন্যতম হলো : তিনি একক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ট্রাস্টি বোর্ডের পূর্বানুমোদন ছাড়াই অধ্যাপক, প্রভাষক, রেজিস্ট্রার, উপদেষ্টা (অর্থ) এবং অন্যান্য কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়েছেন, যার ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ২৭ এবং ৩৪ লঙ্ঘন করেছেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ১৬ (৯) ও ৩২ অনুযায়ী প্রো-ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ কর্তৃক প্রেরিত প্যানেল থেকে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, ১৪.১১.২০২১ ইং শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধ্যাপক মহিউদ্দিন চৌধুরীকে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্যানেল থেকে বাদ দিয়ে নতুন প্যানেল পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই পদ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত খালি রাখার জন্য অক্টোবর ১২, ২০২৩ এবং জানুয়ারি ১৪, ২০২৪ ইং তারিখে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হককে অবহিত করা হয়। তিনি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে যথাযথ অনুমোদন ছাড়া অন্যায়ভাবে প্রো-ভিসি পদের দায়িত্বে এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে অব্যাহত রেখেছিলেন এবং সরকারি অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে দিয়ে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজে এবং সনদে স্বাক্ষর প্রদান অব্যাহত রেখেছিলেন যা অবৈধ এবং অনৈতিক।

এ ছাড়া তিনি অর্থ কমিটি ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অনুমোদন ছাড়া নিজের এবং গুটিকয়েক সিনিয়র শিক্ষকের বেতনভাতা ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে (যারা ছিলেন তার অবৈধ কার্যকলাপের মুখ্য পরামর্শক) তা বাস্তবায়ন করেছেন এবং তারা তার সহযোগিতায় ক্লাস না নিয়েও বেতনভাতা পেয়েছেন।
তিনি অর্থ কমিটি ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজকে পাশ কাটিয়ে আইনের তোয়াক্কা না করে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল ব্যবহার করেছেন, অর্থ কমিটি এবং ট্রাস্টি বোর্ডের কাছ থেকে পূর্বানুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে প্রচুর পরিমাণ অর্থ লেনদেন করেছেন, এইভাবে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ২৬ লঙ্ঘন করেছেন।
বিভিন্ন সময়ে ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া নিজ ইচ্ছায় নিজের মতো করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন,২০১০-এর ধারা ৩১ (৮) লঙ্ঘন করেছেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাকে বহুবার বলার পরও , তিনি সিন্ডিকেট-সহ অন্যান্য কমিটির সিদ্ধান্ত/পরামর্শ অনুমোদনের জন্য ট্রাস্টি বোর্ডে গত দুই বছরে কোনো নথি উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, ২০২১ সালে অধ্যাপক মো: মোজাম্মেল হক মিথ্যা তথ্যের আশ্রয় নিয়ে বিগত সরকারের দোসর তৎকালীন তথ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চাপ প্রয়োগ করে অপ্রত্যাশিতভাবে ভিসি নিযুক্ত হন, যা ছিল তার স্বভাবজাত চতুরতা এবং লোভের বহিঃপ্রকাশ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইল কি হামাসকে ধ্বংস করতে পারে? রাঙ্গাবালীতে ভোক্তা ঠকানোর দায়ে ৯ জনকে অর্থদণ্ড ব্যাংকিং সেক্টর রিফর্মে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক : অর্থ উপদেষ্টা ঢাবি ও জাবিতে গণপিটুনিতে হত্যা প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাকুন্দিয়ায় মাদরাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর মাকে মারধর সুশীলতার আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে বিপ্লবের মূল্যবোধ বেক্সিমকো গ্রুপের সম্পত্তি দেখভালে রিসিভার নিয়োগের আদেশ সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন : ডা. জাহিদ মহাদেবপুরে স্বামীর লাঠির আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ এক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ছাড়ো : ইসরাইলকে জাতিসঙ্ঘ

সকল