১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

আ’লীগ সংখ্যালঘুদের রাতে দংশন করে দিনে ঝাড়ে: মামুনুল হক

ঠাকুরগাঁও পাবলিক ক্লাবে দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মামুনুল হক: নয়া দিগন্ত -

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক অভিয়োগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে এবং আগে ও পরে যেসব সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে তার আসল রূপ হলো শেখ হাসিনা ও তার সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মিলে কালনাগিনী হয়ে রাতের বেলায় সংখ্যালঘুদের ছোবল মারত, দিনে তারাই আবার ওঝা হয়ে ঝাড়ত। এগুলো সবই নাটক। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঠাকুরগাঁও শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে খেলাফত মজলিশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা আয়োজিত ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ, আহত ও বন্যাদুর্গতদের জন্য দোয়া এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও পতিত স্বৈরশাসক ও তার সহযোগীসহ সকল অপরাধীকে বিচারের দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মামুনুল হকে আরো বলেন, এ দেশে আর কোনো সংখ্যালঘু মানুষের ওপর অত্যাচার করতে দেয়া হবে না। ইসলামপন্থীরা সবাই মিলে এ দেশে বসবাসকারী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব সংখ্যালঘুদের জান-মাল ইজ্জত-আব্রু অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয় অধিকার তিলে তিলে আমাদের রক্ষা করবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে এই বিপ্লব এসেছে। এই রক্তের দাগ শেখ হাসিনার হাতে লেগে আছে। পিলখানায় একদিনেই ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারকে শেখ হাসিনা হত্যা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এত সেনাকর্মকর্তা নিহত হয়নি। আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে অন্যায়ভাবে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছিল, ধর্মপ্রাণ মানুষ তার প্রতিবাদ করায় শতাধিক নিরপরাধ মানুষকে সেদিন হত্যা করা হয়েছে। হেফাজতের সমাবেশে নিরপরাধ শতাধিক আলেমকে হত্যা করেছেন। শেখ হাসিনার দর্শন ছিল বিভাজনের রাজনীতি। তিনি বাংলাদেশ ধ্বংসের রাজনীতি করতেন। তার কথা না শুনলে যে কাউকে তিনি রাজাকার বানিয়ে দিতেন। আর তার দালালি করতে পারলে ’৭৫-এর জন্ম নিলেও সে হয়ে যেত মুক্তিযোদ্ধা। সর্বত্র তিনি বৈষম্য কায়েম করেছেন। এ দেশের চার কোটি ছাত্র যখন এর প্রতিবাদ করল তখন শেখ হাসিনা বললেন, তারা সব রাজাকারের বাচ্চা। হাসিনার দোষররা বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে। সুযোগ পেলেই তারা আবার ছোবল মারবে। এ জন্য বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজত ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, গণঅধিকার পরিষদসহ সব ইসলামী ও গনতন্ত্রপন্থী দলসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন বলে এখনই আপনারা কেউ বিজয়ের ঢেকুর তুলবেন না।
খেলাফত মজলিশের ঠাকুরগাঁও জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা সাইদ আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অগ্নি-প্রতিরোধ মহড়া ১৯ জানুয়ারি পাটগ্রামে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় মদের বোতল দিল বিএসএফ ফায়ার সার্ভিসের ৬ কর্মকর্তার পদোন্নতি আরো ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব কারাজীবনের অবসান, কাল মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর সীমান্ত ইস্যু এক দিনে সমাধান সম্ভব নয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বচ্ছ কাঁচের ঘরে রিমান্ডের সুপারিশ পুলিশ সংস্কার কমিশনের রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত এনবিআরের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ৯০ শতাংশ মানুষ : সংস্কার কমিশন গাজীপুরে বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার শরীয়তপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহত জালালের লাশ উত্তোলন

সকল