যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে গেল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
- দিনাজপুর প্রতিনিধি
- ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে গেল বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিটের মধ্যে সচল থাকা একমাত্র তৃতীয় ইউনিটে গত সোমবার রাতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আর আগে থেকেই প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ ছিল। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে ১ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হলে এখান থেকে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ায় দিনাজপুরসহ এ অঞ্চল তীব্র লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে।
জানা গেছে, দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনালের সাথে কয়লা উত্তোলনে পাঁচ বছরের চুক্তি হয়। যার মেয়াদ আগামী বছর শেষ হবে। চুক্তি মোতাবেক ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সচল রাখতে ছোট ধরনের মেরামত ও যন্ত্রাংশ সরবরাহের কথা থাকলেও তার কিছুই করেননি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কারণেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজ ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রতিটি ইউনিট সচল রাখতে দু’টি করে ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প দরকার হয়। এর মাধ্যমে এসব ইউনিটের জ্বালানি তেল সরবরাহ করে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকেই তিনটি ইউনিটের দু’টির মধ্যে একটি পাম্প নষ্ট থাকায় যেকোনো সময় বন্ধের ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প হিসেবে একটি ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প দিয়ে চলে আসছিল এর উৎপাদন কার্যক্রম। ফলে মাঝে মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হতো তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো: আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এক মাস ছয়দিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার তৃতীয় ইউনিটটি থেকে উৎপাদন শুরু হয়। যা দু’দিন পরেই আবার বন্ধ হয়ে গেল। একটি পাম্প দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। কিন্তু ওই একটি পাম্পও সোমবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর দিনব্যাপী চেষ্টা করেও চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে উৎপাদন। এখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে তারা দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। চীন থেকে মেশিন এলেই উৎপাদন শুরু করা যাবে।