১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে দৃক গ্যালারিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

-


গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবারের সদস্য, আহত ও পঙ্গু ছাত্ররা শুক্রবার দৃক গ্যালারিতে আন্দোলনের ঐতিহাসিক পর্যায়গুলোর কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি সমন্বিত একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছেন।
৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দৃক গ্যালারি ‘যুবদের নির্ভীক সাহস এবং স্বৈরশাসক হাসিনার পতন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘বুক পেতেছি, গুলি কর’ শিরোনামে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ১৬ দিনব্যাপী প্রদর্শনী চলবে ২১ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে ৮টা পর্যন্ত।
প্রদর্শনী উদ্বোধনের পরপরই, সব জাতি-বর্ণ-বয়সী এবং বিদেশী লোকদের প্রদর্শনী পরিদর্শন করতে দেখা যায় এবং কিছু ছবির দিকে ইশারা করে অন্যদের সাথে আড্ডা দেয়ার পাশাপাশি ছবি তুলতে দেখা যায়।
ফটোগ্রাফার এবং দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম বলেন, ‘ছবিসহ একটি বই প্রকাশের পাশাপাশি আমাদের পরিকল্পনা আছে ছবি সমন্বিত একটি চলমান জাদুঘর করার। যা সারা দেশের সর্বস্তরের মানুষকে দেখার সুযোগ দিতে পারে।’
প্রদর্শনী উদ্বোধনের আগে দৃক গ্যালারি মিলনায়তনে বীরাঙ্গণাদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ছাত্র ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক।

সাংবাদিক ও গবেষক ডক্টর সোয়দিয়া গুলরুখের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদীর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম পপি, আহত ছাত্র সাইফুদ্দিন এমদাদ, জুলফিকার আহমেদ শাকিলের মা, ইডেন মহিলা কলেজের সমন্বয়ক শাহিনুর সুমি ও ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ফাইয়াজ ফারহানের খালা নাজিয়া খান।
আলোচনায় অংশ নেয়া শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনকে স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ফারহান ফাইয়াজের খালা নাজিয়া খান বলেন, ‘আমাদের আর হারানোর কিছু নেই কারণ আমরা সবকিছু হারিয়েছি। আমরা যা চাই তা হল খুনিদের খুঁজে বের করা এবং এটিই আমাদের একমাত্র চাওয়া। ’ তিনি আরো বলেন, আমরা শহীদ পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রের কাছে হত্যাকারীদের বিচার ছাড়া কিছুই চাই না।
ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদীর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম পপি বলেন, ‘তারা আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। জ্ঞান হারানো পর্যন্ত তারা তার বুকে বুট দিয়ে আঘাত করতে থাকে এবং গুলি করে।
পপি আরো বলেন, ‘আমার দু’টি মেয়ে আছে। আমার স্বামী আমার বড় মেয়েকে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন, তিনি তাকে পরের বছর একটি নামী স্কুলে ভর্তি করতে চেয়েছিলেন। এখন আমি জানি না আমরা কিভাবে বেঁচে থাকব বা কিভাবে আমি তার স্বপ্নকে সত্যি করব।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
চকরিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাত আটক মির্জাপুরে ৭ দফা দাবি আদায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লিফলেট বিতরণ ম্যাচ বয়কটের হুমকি ক্রিকেটারদের, জরুরি বৈঠকে বিসিবি ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করল ইরান সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু হচ্ছে শনিবার যুদ্ধবিরতির তুমুল আলোচনার মধ্যেই ৬২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা ‘পাইকগাছা কৃষি কলেজ এখন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস’ নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচার : আসিফ নজরুল চকরিয়ায় ডাম্পারচাপায় শ্রমিক নিহত এনসিটিবি ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে হামলা সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

সকল