১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

লালমনিরহাটে ৬৬৪ প্রকল্পের সাড়ে ২৩ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ

-

লালমনিরহাটে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর-খাদ্যশস্য/নগদ টাকা) কর্মসূচির আওতাধীন ৬৬৪ প্রকল্পের ২৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ২৭ টাকা ৬৫ পয়সা সরকারি বরাদ্দের পুরো কাজ হয়নি। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মশিয়ার রহমানের সহযোগিতায় কাজ না করে টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। ফলে একজন সচেতন নাগরিক দুদকের সংশ্লিষ্ট দফতরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ অফিস জানায়, ২০২৩-২০২৪ইং অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় ২ হাজার ৫৩৪টি প্রকল্পে প্রায় ৮০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়। এ বিষয়ে সদর উপজেলায় খাদ্যশস্যসহ ৬৬৪ প্রকল্পের ২৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ২৭ টাকা ৬৫ পয়সা সরকারি বরাদ্দ পায়। এসব বরাদ্দের বিপরীতে সেতু, কালভাট, হেরিংবন্ড, ইজিপিপি ও আশ্রয়ণ কেন্দ্র, রাস্তাঘাট সংস্কারের ব্যয় ধরা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শতভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে সমুদয় প্রকল্পের টাকা চলতি বছরের গত ৩০ জুন ঠিকাদারদের দিয়েছেন। সব প্রকল্পের কাজ না করে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিয়ার রহমানের সহযোগিতায় চার ভাগের তিন ভাগ টাকা ভাগাভাগি করায় একজন সচেতন নাগরিক দুদক সংশ্লিষ্ট দফতরের লিখিত অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে ওই প্রকল্পের খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নিজপাড়া মৌজার পাকা রাস্তা হতে রাকালমারির দোলা পর্যন্ত সংস্কারে ফেলা হয়নি কোনো মাটি। অথচ এ প্রকল্পের নামে তোলা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। শুধু তা-ই নয় একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নিজপাড়া মৌজার সুভাসের বাড়ি হতে বেতো বাড়ির দোলা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পে ৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। কিন্তু এ প্রকল্পে বেতো বাড়ির দোলা পর্যন্ত কোনো কাজ করা হয়নি। চিনিপাড়া মৌজার কবিরের মিল হতে চিনিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজেও নামমাত্র কাজ করে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। একই চিত্র বৈরাগী কুমোর মৌজার জয়মনি-দীঘি হতে তেপতি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারসহ বেশির ভাগ প্রকল্পের। যা সরেজমিনে তদন্ত করলে মিলে প্রকল্পগুলোতে কি পরিমাণ অনিয়ম করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কোনো স্থানেই পুরো কাজ করা হয় না। ভুয়া বিল বানিয়ে সব টাকা মেরে খাই। কাজ হয়েছে কিনা তা দেখতেও আসেন না পিআইও। ওই অফিসারকে জানালে তিনি উল্টো খারাপ ব্যবহার করেন। টিআর- খাদ্যশস্য/নগদ টাকা কর্মসূচির আওতাধীন এলাকার সংস্কার বা উন্নয়নের নামে আ’লীগ নেতাকর্মীসহ জনপ্রতিনিধির পেট উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিয়ার রহমানকে কাজ না হওয়ার বিষয়ে জানালে তিনি এককথায় স্থানীয়দের জানান, এসব কাজ এমনি হয়। কোনো কথা বলে লাভ হবে না।
অনিয়মের বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মশিয়ার রহমান কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। কারণ প্রকল্প বিষয় যা কিছু করা হয়েছিল তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কথা মতো। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। আমরা এসব নিয়েই ব্যস্ত। কাজগুলো দেখার সময় পাইনি।


আরো সংবাদ



premium cement
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেফতার সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গাজার চলমান ঘটনাবলী সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভুল : বসনিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে ভারতের আসাম-মেঘালয় সীমান্তে আটক ৬৫ বাংলাদেশী ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুসলিম উম্মাহ'র মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হোসেনপুরে স্কুলশিক্ষকের বসতঘর পুড়ে ছাই রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টির আভাস 'শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে' সিংগাইরে ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশ উদ্ধার সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর ওপর ডিম নিক্ষেপ

সকল