১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ফেনীতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে পানিবাহিত রোগ

চাপ সামলাতে হাসপাতালে নতুন ৩টি ইউনিট
-


বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সাথে ফেনীতে দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ- ডায়রিয়া, আমাশা, পেটে ব্যথা, জ্বর, নিউমোনিয়া ও চর্মরোগ। ফেনী জেলার হাসপাতালগুলোতে ধারণক্ষমতার প্রায় ১০ গুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু।
সরেজমিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শয্যার সঙ্কটের কারণে ওয়ার্ডগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই। গত মঙ্গলবার থেকে নতুন ভবনের ৬ তলায় ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসায় নতুন করে তিনটি ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। এখানে ৫২ শয্যার বিপরীতে ১৮৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। পুরাতন ভবনের শিশু ওয়ার্ডেও ২৬ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন শতাধিক। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতাল আঙিনা ও বাইরে গাছতলায় বিছানা পেতে খোলা আকাশের নিচে চিকিৎসা নেয়া রোগীরা নতুন ভবনের মেঝে ও বারান্দায় ঠাঁই পেয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ফেনী জেলার সাতটি হাসপাতালে এ পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৩০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৭৫৪ জন, এর ভেতর ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ৪৯৮ জন, সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা এ পর্যন্ত ২২৫ জন।

উপজেলা কেন্দ্রিক হিসেবে দেখা যায়, সোনাগাজী উপজেলায় ৬১০ জন, পরশুরাম উপজেলায় ৫৩৬ জন, ফুলগাজী উপজেলায় ৩১৪ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলায় এক হাজার ২৭২ জন, দাগনভূঞা উপজেলায় ৬৩০ জন, ফেনী সদর হাসপাতালে ৭৯০ জন বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এ ছাড়া হাসপাতালগুলোতে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫২৪ জন, এর মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত ১৮৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে অবস্থান করছেন ৯১৩ জন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা: আসিফ ইকবাল বলেন, বন্যা-পরবর্তী সময়ে ফেনীতে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে বাড়তি ৫২ শয্যার তিনটি ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সহযোগিতা চেয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মেডিক্যাল টিম দেয়া হয়েছে। তারা বুধবার থেকে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু করবে।

সিভিল সার্জন ডা: শিহাব উদ্দিন বলেন, রোগীর চাপ সামলাতে চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনীর সাত এবং পাশের বক্ষব্যাধি হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক আনা হয়েছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগ ও হাসপাতালে যে পরিমাণ রোগী আসছে, তাদের সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের বসার জায়গা পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। ওষুধ নেই, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভাগও বন্ধ। তার পরও আমরা দিনরাত সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।
ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, জেলায় সরকারিভাবে পাঁচটি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ২২টি মোবাইল টিম চালু রয়েছে এ ছাড়াও বেসরকারিভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীর আটটি মিলিটারি টিম ও ১৩টি সিভিল টিম মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আসলে কী হয়েছিল? মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করুন : তথ্য উপদেষ্টা বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ঢাবিতে নামবে ‘মোবাইল কোর্ট’ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়ন প্রচেষ্টায় নজর ভারতের এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট নাটোরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে যুবদল নেতাসহ গ্রেফতার ৬ বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ঢাবিতে নামবে ‘মোবাইল কোর্ট’ ভিসা সমস্যার সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা মার্চেন্ট শিপিং ফেডারেশনের শহীদ পরিবার পাচ্ছে ৫ লাখ, আহতরা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম

সকল