১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, ৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

আনোয়ার জাহিদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

-


বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিক ও সাবেক মন্ত্রী, ভাষা সৈনিক আনোয়ার জাহিদের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৮ সালের এ দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে দৈনিক ইত্তেহাদের সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ সালে অর্ধ সাপ্তাহিক ধূমকেতুর সহকারী সম্পাদক, ১৯৫৯ সালে দৈনিক সংবাদের সহকারী সম্পাদক, ১৯৬০ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক, ১৯৬৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে সাপ্তাহিক হলিডের উপসম্পাদক, ১৯৭০ সালে সাপ্তাহিক গণবাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, ১৯৭২ সালে ডেইলি পিপলসের বার্তা সম্পাদক ও বাংলাদেশ টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ কাজ করেন দৈনিক ইনকিলাবে উপদেষ্টা সম্পাদক হিসাবে। তিনি ১৯৬২-৬৪ সালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজ) সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৫ ও ৬৬ সালে সহসভাপতি, ১৯৭৮ ও ৮৩ সালে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আনোয়ার জাহিদ ছাত্রজীবনে নিখিল পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৬ ছাত্রলীগের ঝিনাইদহ মহকুমার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ঝিনাইদহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৫৬ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজের ছাত্রসংসদের জিএস নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে নিখিল-পাকিস্তান ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থানে তিনি ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৭ সালে ন্যাপ দুই ভাগে বিভক্ত হলে তিনি মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাপের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন ও ঘোষণাপত্র তৈরিতে ভূমিকা রাখেন। একই সাথে তিনি ন্যাপের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। পরে গণতন্ত্রী পার্টি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন এরশাদ সরকারের তথ্য, ত্রাণ এবং শ্রম-জনশক্তি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি এনডিপি এবং ১৯৯১ সালে বিএনডিপি গঠন করে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালের ১০ দলের সমন্বয়ে গঠিত এনডিএ’র সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেন এবং ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপার্সনের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন।

আনোয়ার জাহিদের দেখানো পথে সংস্কার প্রয়োজন : বাংলাদেশ ন্যাপ
গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে অপরাজনীতির পতন হয়েছে। এই পতনের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন সুযোগ সৃষ্টি এর মাঝেই আনোয়ার জাহিদের দেখানো পথে রাজনীতিতে সংস্কার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
প্রখ্যাত রাজনীতিক, প্রাজ্ঞ সাংবাদিক, জননেতা আনোয়ার জাহিদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এসব কথা বলেন। তারা বলেন, উজান স্রোতের যাত্রী আনোয়ার জাহিদও শেষজীবনে শিকার হয়েছিলেন তথাকথিত অসুস্থ ও ক্ষত রাজনীতির। সুস্থ ও মেধাভিত্তিক রাজনীতির এক ধ্রুবতারার নাম আনোয়ার জাহিদ।
নীতিহীন রাজনীতির যুগে তিনি ছিলেন অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে ভদ্র ভাষায়ও যে ভিন্নমত প্রকাশ করা যায় তার জলন্ত দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি। যা আজকের রাজনীতিতে অনুপস্থিত প্রায়। তারা বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ও জাতীয় নেতা মশিউর রহমান জাদু মিয়া পরবর্তী জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির সার্থক নেতৃত্বে ছিলেন আনোয়ার জাহিদ। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement