০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

মিরসরাইয়ে ১৫ দিন ধরে পর্যটক নেই

কারফিউর কারণে পর্যটকশূন্য চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পর্যটন স্পটগুলো : নয়া দিগন্ত -

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কারফিউ ঘোষণার কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পর্যটন স্পটগুলো। গত ১৫ দিন ধরে এসব স্পটে পর্যটকরা আসতে পারছে না। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ইজারাদাররা। দিনের কিছু সময় কারফিউ শিথিল রাখলেও মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারছে না।
জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলন ও কারফিউফের কারণে ধস নেমেছে পর্যটন শিল্পে। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ইজারাদার ও স্পটগুলো ঘিরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা।
এখানে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মহামায়া সেচ প্রকল্প, দেশের ষষ্ঠ সেচ ও প্রথম বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প মুহুরী প্রজেক্ট, আটস্তর বিশিষ্ট জলপ্রপাত খৈয়াছড়া ঝরনা, রূপসী ঝরনা, দুর্গম মেলকুম গিরি খাত, বাওয়াছড়া প্রকল্প, বোয়ালিয়া ঝরনা, নাপিত্তাছড়া ঝরনা, ডোমখালী বেড়িবাঁধ, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের বসুন্ধরা পয়েন্ট, হিলসডেল মাল্টি ফার্ম ও আরশিনগর ফিউচার পার্ক।
প্রতিদিন এসব পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন হাজারো ভ্রমণপিপাসু মানুষ। এখন অনেকটা পর্যটকশূন্য এসব স্পট।
সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র মহামায়া ইকোপার্ক চলতি বছরের জন্য ভ্যাটসহ এক কোটি ৮০ লাখ টাকায় ইজারা নেয় মেসার্স হক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট। তবে পরিস্থিতির কারণে পর্যটক নেই বললেই চলে। এখানে দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে ৮৬ হাজার টাকা।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ বারৈয়াঢালা রেঞ্জের আওতাধীন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য এ ঝরনাসহ পাঁচটি ঝরনা ইজারা পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শোমোশন লিমিটেড। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তন্ময় ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে আমাদের প্রতিষ্ঠান ভ্যাটসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকা দিয়ে বারৈয়াঢালা রেঞ্জের আওতাধীন পাঁচটি ঝরনা ইজারা নিয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে এসব ঝরনায় কেউ আসতে পারছে না। এতে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। অথচ এখন বৃষ্টির কারণে ঝরনায় যাওয়ার ভালো সময়। তিনি আরো জানান, এসব স্পটে ২০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন। এদের বেতন, খাওয়ায় অনেক টাকা খরচ হয়। প্রতিদিন আমাদের প্রায় ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতি হচ্ছে।
খৈয়াছরা ঝরনা এলাকায় অবস্থিত বিলাস হোটেলের মালিক আবদুল আলীম বলেন, টানা ১৫ দিন কোনো পর্যটক নেই বললেই চলে। বেচাকেনা একেবারে কম। অনেকে কাস্টমার না থাকায় দোকান খোলেনি। সারা দিনে ৫০০ টাকা বিক্রি করতে কষ্ট হয়।
মহামায়া ইকোপার্ক এলাকার হান্ডি রেস্টুরেন্টর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, গত ১০-১৫ দিন তেমন বেচাকেনা হয়নি। হোটেলের সবাই সারা দিন অলস বসে সময় পার করছে। মহামায়া ইকোপার্ক ইজারা পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের কর্মকর্তা মো: নবী উল্লাহ বলেন, দেশের পরিস্থিতির কারণে পর্যটক একেবারে কমে গেছে। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন বেড়াতে আসেন। এখন কেউ আসতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement