০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
সেন্টমার্টিন উপকূলে ট্রলারডুবি

দুই উদ্ধারকারীসহ এখনো নিখোঁজ তিন

-

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্র উপকূলে ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুইজন উদ্ধারকারীসহ এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ঘটনায় ১৬ জন উদ্ধার হলেও উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে দ্বীপবাসী। এ সময় কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। গুলিতে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে নিত্যপণ্য ও যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার পথে শাহপরীর দ্বীপের অদূরে সাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামে একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৬৫ দিন মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেন্টমার্টিনের সাদ্দাম হোসেনের মালিকানাধীন এফবি সাদ্দাম টেকনাফ ঘাটে ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ট্রলারটি সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ট্রলারটিতে ১২ জন যাত্রী উঠে। একই সাথে ট্রলারটিতে ছিল ছয়জন জেলে। ট্রলারটি বেলা আড়াইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় পৌঁছলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ঘটনার পর পরই সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে কয়েকটি ফিশিং ট্রলার, কয়েকটি সার্ভিস বোট উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ নুর মোহাম্মদ সৈকত (২২) সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বাসিন্দা ও টেকনাফ সরকারি কলেজের ছাত্র। এ দিকে ট্রলারডুবির পর উদ্ধার করতে যাওয়া একটি স্পিড বোট গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে সাগরে ডুবে গেলে উদ্ধারকারী মো: ফাহাদ (২৮) ও মো: ইসমাইল (২৭) সেন্টমার্টিন পশ্চিম কোনার পাড়ার মৃত আজম আলীর ছেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এ সময় স্পিড বোটে থাকা অপর তিনজন উদ্ধারকারী আব্দুল্লাহ, আরিফ ও উত্মত আলী রাত ১০টার দিকে সাঁতরে শাহপরীর দ্বীপ ও সাবরাং উপকূল দিয়ে তীরে উঠে। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মো: জাহাঙ্গীর। নিখোঁজ তিনজন হলো ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী নুর মোহাম্মদ সৈকত ও উদ্ধারকারী ফাহাদ ও ইসমাইল।
অপর দিকে ট্রলারডুবির পর উদ্ধার তৎপরতার জের ধরে কোস্টগার্ডের সাথে সেন্টমার্টিনবাসীর উত্তেজনা তৈরি হয়। সেন্টমার্টিন থেকে কয়েকজন বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ট্রলারডুবির পর কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হলেও তারা উদ্ধার তৎপরতায় সাগরে নামেননি। দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলারে উদ্ধারে নামেন। এ সময় ১৬ জনকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরলে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের সাথে ছবি তোলার চেষ্টা করে। এতে দ্বীপবাসীর সাথে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা করে ভাঙচুর করে এবং একটি যানবাহন পুড়িয়ে দেয়। এ সময় ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় হানিফ নামে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হন।


আরো সংবাদ



premium cement