ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে মিরনজিল্লায় যান কাউন্সিলর আউয়াল

মিরনজিল্লায় হরিজন সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে স্থানীয় ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন বলেছেন, হরিজন সম্প্রদায় আমার ভোটার। আমি কেনো তাদের উচ্ছেদ করতে যাব। সেদিন আমি সিটি করপোরেশন ও ম্যাজিট্রেট নির্দেশ মোতাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম।
শুক্রবার এক লিখিত বক্তব্যে কাউন্সিলর আউয়াল বলেন, গত ৬ জুন নগরভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস নগরভবনে হরিজনদের বসতি বংশালের মিরনজিল্লা পল্লীতে নির্মিত বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাট তাদের বুঝিয়ে দেন। এর একমাস পার হলেও তারা বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাটে না ওঠায় ৯ জুলাই ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আমাকে একটি চিঠি দেন। চিঠি উল্লেখ করা হয়, নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মনিরুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বুধবার হরিজনদের নিজ ফ্ল্যাটে ওঠার জন্য তাগিদ দিতে মিরনজল্লায় যাবেন। সেখানে স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে আপনি উপস্থিত হবেন। সে মোতাবেক ম্যাজিট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মতিউর রহমান স্কুলে উপস্থিত হলে আমি সেখানে যাই। সেখানে ম্যাজিট্রেটের নির্দেশে অঞ্চল-৪ এর বর্জ্য সহকারী আজগর বরাদ্দ পাওয়া হরিজনদের হাজির করেন এবং তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন আজকের মধ্যে যদি আপনারা বরাদ্দ পাওয়া নিজ ফ্ল্যাটে না ওঠেন তাহলে আপনাদের বরাদ্দ বাতিল করা হবে। এখানে বরাদ্দ পাওয়া ৬০ জনের মধ্যে ৫১ জন উপস্থিত হোন। ফ্ল্যাট বরাদ্দ পাওয়া হরিজনরা জানান, এখানে আসার সময় হরিজন নেতারা বাধা দিয়েছে। তখন ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আজগর, ওয়ার্ডের সিআই এবং ফ্লাট নির্মাণের ঠিকাদার বরাদ্দ পাওয়া মিরনজিল্লা পল্লীতে হরিজনদের ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলে সেখান থেকে আজগর মুঠোফোনে ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানকে জানান, হরিজন সম্প্রদায়ের নেতারা বরাদ্দপ্রাপ্ত হরিজনদের ফ্ল্যাটে ঢুকতে দিচ্ছে না। তখন ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে তার সাথে স্পটে যাওয়ার কথা বললে আমিও তাদের সাথে যাই। সেখানে গেলে হরিজন নেতারা ম্যাজিস্ট্রেটসহ আমাদের সেখান থেকে চলে আসতে বলেন। এ দিকে ফ্ল্যাট প্রাঙ্গণে ম্যাজিট্রেটের উপস্থিতি দেখে বরাদ্দ পাওয়া হরিজনরা নিজ ফ্ল্যাটে যেতে সাহস পান। এ অবস্থায় হরিজনদের দু’টি গ্রুপের মধ্যে সঙ্ঘাত ছড়িয়ে পড়ে। তখন আমরা স্থান ত্যাগ করার সময় আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় হরিজনদের ছোঁড়া ইটপাটকেলে স্থানীয় কয়েকজন আহত হলে একপর্যায়ে এ সংঘর্ষে এলাকাবাসী জড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
অথচ একটি মহল রাজনৈতিক চরিতার্থ করার জন্য আমাকে জড়িয়ে হরিজনদের নিয়ে অপপ্রচার করছে। তারা আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটার। আমি কেনো তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবো।