বগুড়া থেকে নিখোঁজ ৭ জন রাঙ্গামাটিতে উদ্ধার
- বগুড়া অফিস
- ১০ জুলাই ২০২৪, ০০:৩৯
বগুড়া শহরের নারুলী এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে একই পরিবারের নিখোঁজ সাতজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত সোমবার রাঙ্গামাটি জেলার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। পিবিআই এর দাবি, পরিকল্পনা অনুযায়ী আয় রোজগার করে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্দেশ্য কাউকে না জানিয়ে রাঙ্গামাটি জেলায় চলে গিয়েছিল তারা। উদ্ধার সাতজন হলেন- লালমনিরহাটের খোচাবাড়ি এলাকার ফাতেমা বেগম, তার ছেলে বিক্রম আলী, ছোট মেয়ে রুনা খাতুন, বড় মেয়ে রুমি বেগম, তার নাতনী বৃষ্টি খাতুন এবং
যমজ নাতি হাসান ও হোসেন। তবে তারা গত ১০ বছর ধরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পিবিআই বগুড়া জেলা কার্যালয়ে ইন্সপেক্টর জাহিদ হোসেন মণ্ডল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
পিবিআই পরিদর্শক জাহিদ উদ্ধারকৃত ফাতেমা ও রুমি বেগমের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তাদের স্বামী বিভিন্ন সময়ে তাদের আয় রোজগার নিয়ে কটু কথা শোনাতো। তাদের স্বাবলম্বী হতেও দিত না। এ ছাড়াও তাদের মাঝে মধ্যেই মানসিক নির্যাতন চালাত। এ কারণে তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী সবার অগোচরে নিজেরা আয় রোজগার করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তারা রাঙ্গামাটি জেলার বুড়িরহাট এলাকায় ফাতেমার নানার বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে কাজের সন্ধান করতে থাকে। পরিদর্শক জাহিদ জানান, ফাতেমার পরিবার দরিদ্র। আর ফাতেমা এর আগে অনেকবার রাঙ্গামাটিতে গিয়েছিল। এজন্য সেখানে তার পথঘাট পরিচিত। এর মধ্যে সেখানে কিছু কাজের ব্যবস্থা করেছিল। রাঙ্গামাটি যাওয়ার আগে লালমনিরহাটেও একবার গিয়েছিল ফাতেমা। কিন্তু তাদের স্বামীর নির্যাতনের কারণে তাই তারা গোপন রাখে। তাদের মূলত পরিকল্পনা ছিল রাঙ্গামাটিতে কাজকর্ম করে সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দা হয়ে বসবাস করার।
গত ৩ জুলাই কাউকে না জানিয়ে ফাতেমা বেগম তার ছেলে, মেয়ে, নাতী ও নাতনীসহ মোট সাতজন বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন। তাদের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট এবং অন্য আত্মীয়স্বজনদের কাছে খোঁজ করে তাদের কোনো সন্ধান না পেয়ে ফাতেমার স্বামী আব্দুর রহমান বগুড়া সদর থানায় ৬ জুলাই সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পিবিআই পুলিশ জিডির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা