০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

কসমস ফাউন্ডেশনের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো হলেন আসাদ-উল ইকবাল লতিফ

-

কসমস ফাউন্ডেশনের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিঙ্গাপুরের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক আসাদ-উল-ইকবাল লতিফ। ১৯৫৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন লতিফ। তার একাডেমিক ও পেশাগত জীবন বর্ণাঢ্য। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ স্নাতক এবং শেভেনিং স্কলার হিসেবে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার অব লেটারস ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
এছাড়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার এবং হনুলুলুর ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টারে জেফারসন ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। লতিফের সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয় কলকাতার দ্য স্টেটসম্যানে। পাঁচ বছর সেখানে কাজ করার পর ১৯৮৪ সালে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে দ্য বিজনেস টাইমস ও দ্য স্ট্রেইটস টাইমসে কাজ করেন। পরে তিনি ইনস্টিটিউট অব সাউথইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো এবং ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের ৫০ খণ্ডের সিঙ্গাপুর ক্রনিকলস সিরিজের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর বেশ কয়েকটি আলোচিত বইয়ের লেখক লতিফ। যার মধ্যে রয়েছে ‘বিটুইন রাইজিং পাওয়ারস: চায়না, সিঙ্গাপুর অ্যান্ড ইন্ডিয়া’, ‘থ্রি সাইডস ইন সার্চ অব এ ট্রায়াঙ্গল: সিঙ্গাপুর-আমেরিকা-ইন্ডিয়া রিলেশনস’ এবং ‘ইন্ডিয়া ইন দ্য মেকিং অব সিঙ্গাপুর’। তার সাংস্কৃতিক কাজের মধ্যে রয়েছে ‘সেলিব্রেটিং ইউরোপ: অ্যান এশিয়ান জার্নি’ ও ‘ইরোস : রুমিনেশনস অন লাভ ইন প্রোস অ্যান্ড ভার্স’।
সম্প্রতি ‘দুই বাংলা’র সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা নিয়ে একটি বইয়ের পাণ্ডলিপি শেষ করেছেন তিনি। বইটিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশে সমসাময়িক বাঙালি জীবনের অভিন্ন ঐতিহ্যের সন্ধান করা হয়েছে।
এছাড়া বইটিতে বাংলার নবজাগরণ, জসীমউদদীনের প্রেমগাঁথা, বাংলার দুর্ভিক্ষ, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক বাঙালিত্ব, শহরের স্টেটসম্যান হাউজের বাঙালি সংস্কৃতি এবং অমর্ত্য সেনের বাংলার প্রভাব উঠে এসেছে। ফেলো হিসেবে লতিফের মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি এবং অবদানের প্রত্যাশায় কসমস ফাউন্ডেশন। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement