০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫
`

কেরুর ডিস্টিলারি থেকে উধাও হওয়া স্প্রিরিটের সন্ধানে ৩ তদন্ত কমিটি

-

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা কেরুর ডিস্টিলারি থেকে উধাও হয়ে যাওয়া ৩০ লক্ষ টাকার ১৩ হাজার লিটার ডি এস (ডিনেচার স্প্রিটের) এর সন্ধান করতে গতকাল সোমবার থেকে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি তাদের তদন্তের কার্যক্রম শুরু করেছে।
চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানান, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের তদন্ত কমিটির প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা জগলুল হক রানা, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা বিভাগীয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের যশোর অফিস প্রধান আসলাম হোসেন ও কেরু চিনিকলের তদন্ত কমিটির প্রধান চিনিকলের মহাব্যাবস্থাপক ((প্রশাসন) মো: ইউসুপ আলি একযোগে সোমবার সকালে ডিস্টিলারির বিভিন্ন ভ্যাটে ঢুকে কর্মচারী ও দায়িত্বপ্রাপ্তদেরকে পৃথক পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের কাজ করছেন। এ দিকে তদন্ত কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলেননি। তারা বলেন, তদন্তেরকাজ শেষ না করে কোনো কিছু বলা যাবে না।

উল্লেখ, গত দু’মাস আগে ডিস্টিলারির বন্ডেড ওয়ার হাউজের সহকারী এজেন্ট মো: জাহাঙ্গীর হোসেনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ডিএসের (ডিনেচার স্প্রিট) ভ্যাটসহ দু’টি ভ্যাটের দায়িত্ব নেয়ার কথা বলা হয়। জাহাঙ্গীর হোসেন ডিস্টিলারি ডিএস (ডিনেচার স্পিট) ভ্যাটে স্প্রিটের হিসাব গরমিল দেখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত আবেদনে জানান ভ্যাটগুলোতে প্রায় ১৩ হাজার লিটার স্প্রিট কম রয়েছে। এবং দায়িত্ব গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে কেরুজ কর্তৃপক্ষ অপর সহকারী এজেন্ট সাজেদুর রহমান তুফানকে সমুদ্বয় মালামাল বুঝিয়ে দিয়ে দায়িত্ব প্রদান করেন। তারপর ২ মে থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত সাজেদুর রহমান তুফান দায়িত্ব পালন করে আসছিল। এ সময় আবারো মালামাল সটেজ দেখা যায় বলে হইচই পড়ে যায়। সরকারের কোটি টাকা রাজস্ব দেয়া দেশের বৃহত্তর এই চিনি শিল্প প্রতিষ্ঠানটি বারবার দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিভিন্ন সময় এই ধরনের অঘটন ঘটেই চলেছে।
এ বিষয়টি নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্তসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে রিপোর্ট প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। পরে পৃথক পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করে তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে চিনিকলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান তদন্ত শুরু হয়েছে, এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement