ফরিদপুরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পরে হত্যা গ্রেফতার ১

গোসল শেষে কাপড় বদলানোর সময় মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় রেখা নামে ১৫ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে। এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তারই চাচাতো ভাই শাহাদাত মাতুব্বর (১৬)। গতকাল ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এ তথ্য জানান। এ ঘটনায় জড়িত শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হোগলাকান্দী সদরদি গ্রামের আব্দুল হাই মাতুব্বরের মেয়ে রেখা আক্তারের বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয় বাড়ির পাশের পাটক্ষেত থেকে। এ ঘটনার এক দিন পর ভাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট মাঠে নামে রহস্য উদঘাটনে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানান, গত শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায় রেখা। গোসল শেষে কাপড় বদলানোর সময় প্রতিবেশী চাচাতো ভাই শাহাদাত মোবাইলে ফোনে ছবি দেখানোর কথা বলে রেখাকে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে রেখাকে ধর্ষণ করে। এরপর রেখা এ কথা তার বাবাকে বলে দেবে বলে জানালে পরনের স্যালোয়ার -কামিজ দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে শাহাদাত। এরপর বিকেলে পাটক্ষেতে রেখার লাশ পড়ে থাকার কথা জানতে পেরে লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, পরবর্তী সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ, ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) তুহিন লস্কর, ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কোতয়ালি জোন) আব্দুল মতিন প্রমুখ।