০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫
`
২ ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন সুরুজ মিয়া

ফতুল্লায় আ’লীগ নেতা খুনের নেপথ্যে ইট,বালু সাপ্লাইয়ের নামে চাঁদাবাজি

-

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করছে র‌্যাব। হত্যাকারীদের হাত থেকে দুই ছেলেকে বাঁচাতে গিয়েই খুন হন আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া। নিহত সুরুজ মিয়া কাশিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। এ ছাড়া স্থানীয় আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতিও ছিলেন।
প্রকাশ্যে কুপিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার মূল কারণ হলো বাসা বাড়ির নির্মাণকাজে ইট, বালু, সিমেন্ট, রড সাপ্লাইয়ের নামে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল রোববার মূল আসামিসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য জানতে পারে। এর আগে এ হত্যার ঘটনায় আরো দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গতকাল রোববার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে র‌্যাব-১১ সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
র‌্যাব জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া হত্যার মূল আসামিসহ এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি কাশিপুরের মো: সফর আলী মাঝির ছেলে আলাউদ্দিন ওরফে হীরা (৩৫), পশ্চিম ভোলাইলের আওলাদ হোসেনের ছেলে মো: আলআমিন (২২), একই এলাকার মো: জাফরের ছেলে মো: রাসেল (২০) ও মো: সেলিমের ছেলে মো: সানি।

র‌্যাব জানায়, র‌্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল শনিবার নারায়ণগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর থেকে সুরুজ মিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আলাউদ্দিন ওরফে হীরাকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে অপর তিন আসামিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার রতনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি আলাউদ্দিন ওরফে হীরার বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় হত্যাচেষ্টা, গুরুতর জখম, ডাকাতি, চুরিসহ কমপক্ষে ১০টি মামলা ও বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। অপর দুই আসামি মো: আলআমিন ও মো: রাসেলের বিরুদ্ধেও একই থানায় মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতনের দায়ে একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‌্যাব। এ ছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আযম মিয়া জানান, মামলার দুই এজাহারনামীয় আসামি বাপ্পী ও জামালকে গত শনিবার দুপুরে গ্রেফতার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে। এর আগে শুক্রবার রাতে নিহতের ছেলে মুন্না বাদি হয়ে আলাউদ্দিন ওরফে হীরা, সালু, তমাল, সফর আলীসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement