০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫
`

দেশে আজ পলাশী পূর্ববর্তী পরিস্থিতি বিরাজ করছে : মুসলিম লীগ

ঁজাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের আলোচনা সভায় অতিথিরা : নয়া দিগন্ত -

তৎকালীন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাবদের থেকে অনুগ্রহ ও সুবিধাপ্রাপ্ত বর্ণবাদী হিন্দু নেতারা বাংলা থেকে ৫৫২ বছরের মুসলিম শাসনের অবসান ঘটাতেই ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে হাত মেলায়। মসনদের মোহে পড়েই মীর জাফর আলী খান, জগৎশেঠ, মাহতাব চাঁদ গংরা সাজানো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে দেশ, জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। ইতিহাসের ঘৃণিততম এই বিশ্বাসঘাতকতা বাংলার স্বাধীনতা ১৯০ বছরের জন্য বেনিয়া ইংরেজদের হাতে তুলে দিয়েছিল। বর্তমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে দিল্লির হিন্দুত্ববাদী সরকার ধারাবাহিকভাবে যেসব ষড়যন্ত্র করছে তার সাথেও পলাশী যুদ্ধ পূর্ববর্তী পরিস্থিতির সাথে সাদৃশ্যতা আছে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব শহীদ সিরাজউদ্দৌলার ২৬৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলীয় নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে ‘ফিরে দেখা পলাশী ট্র্যাজেডি ও আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরিউক্ত মন্তব্য করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মেজর (অব:) এম সারোয়ার হোসেন, এবি পার্টির মহাসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, জামায়েত ইসলামী মজলিসে সুরা সদস্য ড. অ্যাডভোকেট হেলাল হোসেন, ফেডারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সভাপতি ড. এ আর খান, জাগপা সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক কবি মাহমুদ হাসান নিজামী, নবাব সিরাজউদ্দৌলার বংশধর নবাবজাদা আলী আব্বাসউদ্দৌলা। মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহসভাপতি নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আফতাব হোসেন মোল্লা, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী, খোন্দকার জিল্লুর রহমান, মতিন ইবনে রহমান, মোহাম্মদ আলী, আজিজুল হক প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আজো জগৎশেঠ-মীর জাফরদের উত্তরসূরিরা ভারতকে একতরফা সুবিধা দিয়ে রেল ট্রানজিট দিতে চায়। মানচিত্র দ্বিখণ্ডিত করে, নিজেদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে রেল ট্রানজিট জনগণ মেনে নেবে না। পলাশী ট্র্যাজেডির সময় শহীদ নবাব সিরাজউদ্দৌলা দেশপ্রেমের মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যেমন জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তেমনি বর্তমান সময়েও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে দেশপ্রেমিক জনগণ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। নব্য মীরজাফর-ঘসেটি বেগমদের হুঁশিয়ার করে নেতৃবৃন্দ বলেন, মীরজাফরের পরিণতি থেকে শিক্ষা নিন; ইতিহাসে ঘৃণিত মীর জাফরের কাতারে দাঁড়াবেন নাকি দেশপ্রেমের প্রতীক মীরমদন-মোহনলালদের কাতারে থাকবেন। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement