১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৪,০৫,০৯২টি আইনি পরামর্শ সেবা প্রদান

-

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার অধীনে (লিগ্যাল এইড) সরকারি খরচায় অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৪ লাখ ৫ হাজার ৯২টি আইনি পরামর্শ সেবা প্রদান করা হয়েছে।
সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে আইনি সহায়তার তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, লিগ্যাল এইডে এডিআর-এর মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৩টি। এডিআর এর জন্য উদ্যোগ নেয়া হয় ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৮টি মামলায়।
প্রতিবেদন আরো বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সরকারি খরচায় লিগ্যাল এইডে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৬টি মামলায়। এর মধ্যে আইনি সহায়তার মাধ্যমে ১ লাখ ৯৪ হাজার ১২২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আইনি পরামর্শ সেবা দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৯২টি। মোট ১০ লাখ ২২ হাজার ৯৫৮ জন সরকারি খরচায় এ আইনি সহায়তা পেয়েছেন। অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ১৮৭ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৭ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেয়া হয়েছে। সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৪২৪ জন, দেশের ৬৪টি জেলার লিগ্যার এইড অফিসের মাধ্যমে ৮ লাখ ২ হাজার ৪০৭ জন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৩৩০ জন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন কলসেন্টার ১৬৪৩০ নম্বরে (টোল ফ্রি) ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৭ জন বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেয়েছেন। জাতীয় হেল্পলাইন সৃষ্টির আগে হটলাইনের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে সরকারি খরচায় আইনি সেবা প্রদান করা হয় বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশের সব আদালত, সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে ‘লিগ্যাল এইড’ এখন দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থীদের নিকট ভরসাস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে সংস্থাটি জেলা পর্যায়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট ও শ্রম আদালতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পায়। সুপ্রিম কোর্টে ২০১৫ সালে লিগ্যাল এইড অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement