১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

টেকনাফ সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত

-

মিয়ানমারে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত দুই দিন ধরে বড় কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি টেকনাফ সীমান্তে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দেখা যায়নি মিয়ানমারের জাহাজটিকে, শুনা যায়নি গোলাগুলির শব্দ। তবে তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাটেনি। মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে গত শুক্রবার সকাল থেকে কোনো বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায়নি কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত এলাকার লোকজন। একই সাথে টানা তিন দিন ধরে নাফ নদী সীমান্তের ওপারে দেখতে পাওয়া ‘মিয়ানমারের জাহাজ’ও গতকাল শনিবার সকাল থেকে দেখা যাচ্ছে না।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমারের অংশে জাহাজটি ছিল। এটি গতকাল শনিবার সকাল থেকে আর দেখা যাচ্ছে না। রাতের যেকোনো সময় জাহাজটি চলে গেছে। একই সাথে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সীমান্তের ওই পাড় থেকে কোনো ধরনের বোমা ও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত বুধবার দুপুর থেকে নাফ নদীর টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার বিপরীতে মিয়ানমারের নিকটবর্তী দেখা যায় একটি বড় আকারের জাহাজ। এরপর বুধবার রাত ৯টা থেকে এপারে পাওয়া যায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। এরপর থেমে থেমে রাতভর শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
গত বৃহস্পতিবার সকালের পর সেই জাহাজটি দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা যায়। জাহাজ থেকে মিয়ানমারের স্থলভাগে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল বর্ষণের শব্দ অব্যাহত ছিল। শুক্রবার সকাল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ বন্ধ হয়। আর শনিবার জাহাজটি দেখা যাচ্ছে না।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সার্ভিস ট্রলারগুলো বিকল্প পথে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করছে। পাঠানো হয়েছে খাদ্য পণ্যও।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়ামিন হোসেন বলেন, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ২০০ মেট্রিক খাদ্যপণ্য পৌঁছানো হয়েছে। আগামী এক মাস খাদ্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আর যাতায়াতের জন্য বিকল্পপথ ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। একদিকে অনিশ্চয়তায় প্রত্যাবাসন, অপরদিকে আবারো অনুপ্রবেশের শঙ্কা। তবে কোনোভাবেই যাতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা।


আরো সংবাদ



premium cement