দৌলতদিয়ায় ঘরমুখো মানুষের ঢল

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদুল আজহা উপলক্ষে মমতার টানে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে। এ রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চ ও ফেরিতে রাজধানী ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার জন্য নদী পার হচ্ছে। যাত্রীদের ভিড় দেখে মনে হয় যেন দৌলতদিয়া ঘাটের সেই আগের চিত্র। কোনো ভোগান্তি না থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
শুক্রবার বিকেলে ও শনিবার দুপুরে সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শন কালে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে। এ সময় লঞ্চ ও ফেরি ঘাটগুলো ঘুরে দেখা যায়, পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে যাত্রীবোঝাই লঞ্চগুলো দৌলতদিয়া প্রান্তে এসে যাত্রী নামিয়ে একপ্রকার খালি অবস্থায় আবার পাটুরিয়া যাচ্ছে। দৌলতদিয়ায় হাজার হাজার যাত্রীকে লঞ্চ থেকে নেমে দ্রুত বাস টার্মিনালের দিকে যেতে দেখা যায়। দৌলতদিয়া ঘাট লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাই মিলন জানায় এ রুটে ১৬টি লঞ্চ নির্বিঘেœ যাত্রী পারাপার করছে।
এ ছাড়া ফেরি ঘাটগুলোতে একই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। ফেরিগুলো বাস, মিনিবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও শত শত যাত্রী নিয়ে ওপার থেকে দৌলতদিয়া ভিড়ছে। সব যানবাহনই যাত্রীবোঝাই। তবে ঢাকাগামী যাত্রী একেবারে কম হওয়ায় স্বল্পসংখ্যক যানবাহন নিয়ে ফেরিগুলোকে ওপার যেতে হচ্ছে।
তবে বাস টার্মিনালে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় কয়েক শত মৌসুমী বাসকে সড়কের পাশে ও টার্মিনালে এলোমেলো ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ওই সব বাসে যাত্রী তুলে দেয়ার নামে কিছু দালাল শ্রেণীর লোকজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। রাজবাড়ী ও ফরিদপুরগামী যাত্রী আ: রহিম, টুটুল, খলিলুর রহমানসহ একাধিক যাত্রী বলেন, স্বাভাবিক সময়ের অপেক্ষায় তাদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেয়া হয়েছে। দৌলতদিয়া থেকে রাজবাড়ীর ভাড়া নেয়া হয়েছে ১০০ টাকা যা অন্য সময়ে মাত্র ৪০-৫০ টাকা। ফরিদপুরে ভাড়া ৮০-৯০ টাকা হলেও ১৫০ টাকা নেয়া হয়েছে। মৌসুমি বাসের কাউন্টারগুলোতেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
দৌলতদিয়া ঘাট বিআইডব্লিউটিসি ম্যানেজার সালাহউদ্দিন বলেন, এরুটে ১৮টি ফেরি সচল রয়েছে। তবে দৌলতদিয়া প্রান্তে যাত্রী ও গাড়ির সংখ্যা কম। পাটুরিয়া ঘাটে চাপ থাকায় বেশি থাকায় এপার থেকে অনেকটা লোড কম নিয়েই ফেরিগুলো ওপার যাচ্ছে।