১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গুলশানে পুলিশ সোর্সের নামে বেপরোয়া অপরাধীরা

রয়েছে জেলখাটা আসামিরাও
-

অভিজাত এলাকা গুলশানে বেপরোয়া হয়ে উঠছে পুলিশের সোর্সরা। অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সামান্য সহযোগিতার নামে নিজেরাই জড়িয়ে পড়ছে বড় বড় অপরাধে। শুধু তাই নয়, তাদের প্ররোচণায় অপরাধে জড়াচ্ছে পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যও। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা। যদিও পুলিশ বলছে, এখন সোর্সদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে খুব বেশি কাজ করতে হয় না পুলিশকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সোর্সের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তারাই অপরাধে জড়ালে ছাড় দেয়া হবে না।
জানা গেছে, সম্প্রতি গুলশান এলাকায় ছিনতাই, চুরি, মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে পুলিশ সোর্স হিসেবে দাবি করা কয়েকজন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকি কেউ কেউ সাজাও ভোগ করেছেন। তবুও সোর্সের নাম ব্যবহার করে তারা জনগণকে ভীতির মধ্যে রেখে চালিয়ে যাচ্ছে অপরাধ। তাদের মধ্যে বিল্পব মজুমদার, খাইরুল বাশার লিমন, শহিদ মিয়া, মো: মুছা, ওসমান মিয়া, শিপন হাওলাদারসহ আরো অনেকের নাম রয়েছে গোয়েন্দা তথ্যে। এর মধ্যে বিল্পবের নামেই গুলশানসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। গত ২৮ মে ওসমান ও শিপন গুলশান থানায় দায়ের করা ছিনতাই মামলায় কারাগারে রয়েছে। সারাদিন এসব সোর্স নামধারীদের দেখা না গেলেও সন্ধ্যার পর তাদের আনাগোনা বেড়ে যায়, চলে গভীর রাত অব্দি। গুলশানের প্রধান সড়ক থেকে বিভিন্ন অলিগলিতে তারা ফাঁদ পেতে থাকে। প্রকাশ্যে কিংবা গাড়ি আটকিয়ে করছে ছিনতাই। ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্লকমেইল করে করছে চাঁদাবাজি। জানা গেছে, এসব অপরাধী পুলিশের স্বীকৃত কোনো সোর্স নয়। তাদের কোনো জবাবদিহিতাও নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সোর্স মানি না পেয়ে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কাজ করে থাকে। সেখান পাওয়া অর্থের ভাগবাটোয়ারার একটি অংশ পায় তারা। সূত্রে জানা গেছে, গুলশানের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সোর্সদের এ ধরনের অপরাধের অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দফতরে। অভিযোগের তদন্তও করা হচ্ছে। পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ঘুষ, চাঁদাবাজি, বখরা আদায়সহ নানা ধরনের অপরাধী কার্যক্রম চালাচ্ছে সোর্সরা। দিনের পর দিন এ ধরনের অপরাধ করলেও এক শ্রেণীর অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার কারণে ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, হয়রানির ভয়ে বেশির ভাগ ভুক্তভোগী অভিযোগ করছেন। তবে কেউ কেউ অভিযোগ দিলেও ভালো কোনো ফল না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে গুলশান জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, প্রযুক্তির যুগে আগের মতো সোর্স ব্যবহার করে না পুলিশ। তবে গুলশান এলাকায় সোর্সের নামে এ রকম কোনো অপরাধী থাকলে তাকেও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।


আরো সংবাদ



premium cement
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা জানতে চায় ট্রাইব্যুনাল সুইজারল্যান্ডে থাকা সিরিয়ার হিমায়িত অর্থের পরিমাণ জানালো সুইস সরকার ইসরাইলি হামলায় ২১ জন নিহত : বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা ২০২৪ সালে ৫৪ জন সাংবাদিককে হত্যা যাত্রাবাড়ী থানার ওসিকে ১৫ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত সংস্থা ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত সংস্থা র‍্যাবে আয়নাঘর ছিল, স্বীকার করলেন ডিজি আবারো গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ জাতিসঙ্ঘের ডিএসইতে মূল্যসূচক বাড়ল ১৪.৪৮ পয়েন্ট সিরিয়ায় বাশার সরকারের পতনে ইরানি মুদ্রার মান রেকর্ড তলানিতে

সকল