১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল কাউন্সিলরদের স্বর্ণপদক দেয়ার ঘোষণা মেয়র আতিকের

-

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে সফল কাউন্সিলরদের স্বর্ণপদক দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। যে ওয়ার্ডগুলোতে শূন্য সংখ্যক ডেঙ্গুরোগী থাকবে তাদের এই পদক দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম।
গতকাল রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে করপোরেশন সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি। ইতোমধ্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ডিএনসিসি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলরদের আরো বেশি উৎসাহী করার জন্যই এ ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র। ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে একযোগে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা ও র‌্যালির আয়োজন করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচারণার ব্যবস্থা করছে।
জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর পিক সিজন হিসেবে গণনা করা হয়। উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে জরিপে যেসব ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা শূন্য থাকবে সেব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের দেয়া হবে এই পুরস্কার। পাশাপাশি পুরস্কৃত করা হবে মশক সুপারভাইজার ও মশক কর্মীদেরও। ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ঠিক করে এটি বাস্তবায়ন করবে।
এ বছর ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করার টার্গেট নেয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সার্বক্ষণিক মাঠে থাকতে হবে। আমি নিজেও মাঠে থাকব। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সাথে জড়িত ডিএনসিসির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য ডিএনসিসিতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করে দিয়েছি। নির্ধারিত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ঈদে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ঈদের সময়ে কোথায় যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখাসহ প্রকৌশল বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব কর্মকর্তা কর্মচারীকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এখন থেকেই ড্রেন ও ক্যাচপিট পরিষ্কার রাখতে হবে।
এ দিকে পরিকল্পিত সবুজায়নের লক্ষ্যে সঠিক পদ্ধতিতে বৃক্ষরোপণের জন্য অংশীজনদের নিয়ে ডিএনসিসিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা গত বছর দুই লাখ বৃক্ষরোপণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। ইতোমধ্যে ৯২ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। বাকিগুলো এ বছর রোপণ করা হবে। ঢাকায় আগে কখনো পরিকল্পিতভবে গাছ লাগানো হয়নি। তাই সব অংশীজনের মতামত ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে মাস্টারপ্লান করে বৃক্ষরোপণ করার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছি।


আরো সংবাদ



premium cement