মাদকের টাকার জন্যই বলাৎকারের পর হত্যা করা হয় শিশু জিসানকে
- আশুলিয়া (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ১২ জুন ২০২৪, ০২:০৩
মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্যই চকলেটের লোভ দেখিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় শিশু জিসান হাসান রাব্বিকে (৭)। পরে তার গলায় থাকা রুপার চেইন ছিনিয়ে বলাৎকার এবং শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করার জন্য ফেলা রাখা হয় জঙ্গলে। হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মাদকসেবী আল আমিনকে (২২) আটক করেছে র্যাব-৪।
মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়ার নবীনগরের র্যাব-৪ এর সিপিস- ২ নবীনগর ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান কোম্পানী কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
তিনি জানান, গত ৯ জুন বিকালে জিসানের বাবা তার ৭ বছরের ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে র্যাব-৪, নবীনগর ক্যাম্পে নিখোঁজ অভিযোগ দেন। পরের দিন বিকালে জানা যায়, ঢাকার ধামরাই থানাধীন কালামপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কবরস্থানের পাশের জঙ্গলে শিশু জিসানের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। র্যাব জানায়, একইদিন হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা আল আমিনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে পেশায় একজন ছিচকে চোর, চুরির পাশাপাশি ছিনতাই ও ডাকাতির সাথেও জড়িত। এছাড়া নিয়মিত হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করতো। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সে ধামরাই, আশুলিয়া, সাভারসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন বিকেলে ধামরাইয়ের কালামপুর এলাকায় গেলে জিসানকে গলায় রুপার চেইন পড়ে খেলা করছে দেখতে পায়। পরে কৌশলে শিশুটিকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে কবরস্থানের পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে প্রথমে বলাৎকার করে তার গলায় থাকা রুপার চেইনটি খুলে নিয়ে জিসানের প্যান্টের রশি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং মাথার অংশ কাদা মাটির নিচে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর রুপার চেইন নিয়ে সে পালিয়ে যায়।
রাকিব মাহমুদ খান বলেন , ঘটনার পর থেকেই র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। আসামি আটকের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। লাশ উদ্ধারের দুই ঘণ্টার মধ্যেই ধামরাই কালামপুর এলাকা থেকে সন্দেহভাজন আল আমিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে চুরি হওয়া চেইনটি ধামরাইয়ের একটি জুয়েলার্স থেকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা