১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
১০ কোটি টাকা নিয়েও পুলিশে ধরিয়ে দিলো দালাল চক্র

লিবিয়ায় বন্দী ২৭ যুবকের দেশে ফেরার আকুতি

লিবিয়ার কারাগারে থাকা ২৭ বাংলাদেশী -

‘আমাদের কাছে দেয়ার মতো আর কিছু নেই। ধারদেনা ও ভিটে মাটি বিক্রি করে দালালের দাবি অনুযায়ী আমরা ২৭ জন প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়েছি দালাল হোসাইন আহমেদ এবং জাহিদ হোসেনকে। তারা টাকা নিয়েও আমাদের পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে গেছে। এখন আমরা লিবিয়ার একটি জেলে আছি। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করুন। আমরা জীবিত দেশে ফিরতে চাই।’
দালালের মাধ্যমে ইউরোপে যেতে গিয়ে লিবিয়ার জেলে বন্দী ২৭ যুবক তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এই আবেদন জানান। সোমবার পাঠানো ৭ মিনিট ১২ সেকেন্ডের এই ভিডিও বার্তায় লিবিয়া গিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ২৭ জন জেলে বন্দীর কথা বলা হয়। তারা হলেন মাদারীপুরের বিভিন্ন উপজেলার রানা মাতুব্বর, জুবায়ের, হালান, ওমর ফারুক, সজিব, রিদয় ইসলাম, কামরুল, প্রিন্স, শুভ, নাঈম মোল্লা, মিলন, শাওন, রশময়, সাব্বির, গাজীপুর জেলার মো: ফারুক, মো: সোহেল, শরিয়তপুর জেলার শাহিন, হাসান, কুড়িগ্রাম জেলার ইয়াকুব, বরিশাল জেলার হাসিবুল ইসলাম, ময়মনসিং জেলার তাহের, হানিফ, পাবনা জেলার আমানউল্লাহ, গোপালগঞ্জ জেলার গোকুল, শ্রিবাস ও সঞ্জিত।

নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার সিংগারপাড় গ্রামের এহরাম সরদারের ছেলে মফিয়া জাহিদ হোসেন এবং সিলেটের কানাইগাতী উপজেলার কাওরারমাটি গ্রামের আ: লতিফের ছেলে মাফিয়া মো: হোসাইন আহমেদ লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানোর (গেইম) কথা বলে এই ২৭ যুবকের কাছ থেকে জন প্রতি ৩৫-৪০ লাখ টাকা করে প্রায় ১০ কোটি টাকা নিয়ে তাদের লিবিয়া পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। লিবিয়ার জেলে বন্দী রানা মাতুব্বরের মা হাসিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের ভিডিও দেখে আর ঘুমাতে পারছি না। আমি সরকারের কাছে তাদের এনে দেয়ার আবেদন করছি।’
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, মাদারীপুর তথা দক্ষিণাঞ্চলে মূলত নেই কোনো কলকারখানা। নেই কর্মসংস্থান। তাই বিদেশ যাওয়ার দিকে ঝুঁকছে মানুষ। অন্য দিকে যারা বিদেশ যাচ্ছে তারা দেশে এসে বহুতল ভবন তৈরি করছে। পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাচ্ছে। এদের দেখাদেখি লেখাপড়া শেষ না করেই বিদেশ যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু করে অনেকেই। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতার বলী হচ্ছে শত শত যুবক। তাই তিনি এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা থামাতে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি জানান।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুল হাসান বলেন, অনেক ভুক্তভোগী দেশে ফিরে মানবপাচার আইনে মামলা করেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপস করে ফেলে। যার কারণে পার পেয়ে যায় অপরাধীরা। তিনি বলেন, তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো ভিডিওটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। নিরাপদে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’


আরো সংবাদ



premium cement
আমাদের সংবিধান ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি চব্বিশের নতুন বাংলাদেশে বিজয় দিবস বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে মঈন খানের বৈঠক বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলাদেশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন! স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ গাজীপুরে নতুন ট্রেন ও অসমাপ্ত বিআরটি লেনে বিআরটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা

সকল