ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১৫ মিনিটে সেবা দেবে ডিএসসিসি : ব্যারিস্টার তাপস
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১১ জুন ২০২৪, ০০:০০
ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে ঢাকাবাসীকে এডিস মশার প্রজননস্থল সম্পর্কিত এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে রোগীর সঠিক ও যথাযথ তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে ১৫ মিনিটে সংশ্লিষ্ট সেবা দিতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে বলে এ সময় তিনি জানান।
গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ‘সকল সরকারি হাসপাতালে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আরো বলেন, এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস ও ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের মশককর্মী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিয়ে আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা যেমন পরিষ্কার করে দিবো তেমনি মশার লার্ভাও ধ্বংস করব। লার্ভা ধ্বংস করার মাধ্যমেই কিন্তু আমরা এডিস মশার বিস্তার পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। সে জন্য আমি সবাইকে আহ্বান করব, আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তথ্য পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।
মশক নিধনে সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, মশক নিধনে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ কাজ মাঠ পর্যায়ে আমাদের পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন কীটনাশক, সরঞ্জামাদি ও জনবল রয়েছে। কিন্তু বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ ও চারপাশে যদি মশার প্রজননস্থল সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কিত তথ্য আমাদের সরবরাহ করার নিবেদন রইলো। আমরা যত বেশি তথ্য পাবো মাঠ পর্যায়ে আমাদের কার্যক্রম আরো বেশি কার্যকর হবে। আমরা মশক নিধন কার্যক্রম আরো বেশি ফলপ্রসূ করতে পারব। আজকে উপস্থিত সাংবাদিক ভাই-বোনেরা আপনারা দেখেছেন, এখানে অভ্যন্তরীণ যে নর্দমা রয়েছে তাতে পানি প্রবাহ না থাকার কারণে পানি জমে আছে, এতে এডিস মশার উৎস তৈরি হয়। আবার সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় পরিত্যক্ত মালামালও রেখে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকেও কিন্তু উৎস সৃষ্টি হয়। তাই সবাইকে ‘নিয়মিত প্রতিদিন জমা পানি ফেলে দিন’ এই প্রতিপাদ্য মানার অনুরোধ করছি।
উল্লেখ্য, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে পরিচালিত এই ‘বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন’ কার্যক্রমে শতাধিক মশককর্মী ও ২৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অংশ নেয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা