গণতন্ত্র ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় এক মঞ্চে আন্দোলনের বিকল্প নেই
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৯ জুন ২০২৪, ০০:৫৪
জাতির চরম ক্রান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঐক্যের নীতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম জোরদার করতে হবে মন্তব্য করে লেবার পার্টি আয়োজিত আলোচনায় নেতারা বলেছেন, বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত আন্দোলন সংগ্রাম করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করা সম্ভব নয়।
গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আকরাম খাঁ হলে বহুদলীয় গণতন্ত্র শহীদ জিয়া ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, শহীদ জিয়া ও বিএনপির প্রতি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের চিরকৃতজ্ঞ থাকা উচিত। স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমান গণ-আকাক্সক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, সব রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। পরবর্তীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে যখন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় তখন এক দিকে আওয়ামী লীগ আবার রাজনীতি করবার অধিকার ফেরত পেয়েছিল, অন্য দিকে শহীদ জিয়ার কৃপায় দেশে ফেরত এসে দলীয় রাজনীতির হাল ধরেছিলেন শেখ হাসিনা। শহীদ জিয়ার আনুকূল্য পেয়েছিলেন বলেই শেখ হাসিনা এই দেশের মাটিতে রাজনীতি করার ও রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের জুলুম, নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে মুক্তি চায়। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাকশাল থেকে এ দেশের মানুষকে মুক্ত করতে সব রাজনৈতিক শক্তিকে একমঞ্চে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে একটি মহল সক্রিয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাতির দুঃসময়ে জামায়াত ইসলামী রাজপথে নামতে প্রস্তুত। কিন্তু অনৈক্য ও বিভেদ তৈরি করতে একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। শহীদ জিয়া সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসযুক্ত করেছেন। শহীদ জিয়া সব দলমতের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারাই শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বিভ্রান্তিকর বক্তৃতা বিবৃতি দিতে পারে। শহীদ জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন না করলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, লেবার পার্টির জন্ম হতো না।
লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরো অংশ নেন- বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান, সদস্য সচিব ফারুক হাসান, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, মো: হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান চৌধুরী মুকুল, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, ছাত্র মিশন সভাপতি সৈয়দ মো: মিলন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও সহসভাপতি এনামুল হক প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা