ওষুধের দাম বাড়ানো নির্মম প্রহসন : বিএনপি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৫ জুন ২০২৪, ০১:১০
ওষুধের দাম বাড়ানোকে নির্মম প্রহসন বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম।
গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন দিশেহারা দেশের জনগণ তখন ওষুধের দাম বৃদ্ধি করে দেশের জনগণকে এক নির্মম পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে এই সরকার। ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টের তথ্যমতে চিকিৎসা ব্যয়ের ৭০% ব্যক্তির পকেট থেকে খরচ হয়। সেই ওষুধের দাম বৃদ্ধি করে যেন নির্মম এক প্রহসনের আয়োজন করেছে জনবিচ্ছিন্ন এই সরকার।
ডা: রফিক বলেন, ২০২২ সালে কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া শুধু ওষুধ কোম্পানিগুলোর সুপারিশে ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ওষুধের দাম বৃদ্ধি করে ওষুধ প্রশাসন, যা ছিল নজিরবিহীন। সে সময় প্যারাসিটামল, হৃদরোগ, ব্যথানাশক ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের দাম ৫০-১৩৪% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এর পর ২০২৩ সালে আরেক দফায় ২৩৪টি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম ১০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। ওষুধের দাম বৃদ্ধির এই রেশ কাটতে না কাটতেই দৈনিক একটি পত্রিকা সূত্রে জানা যায় যে, অতি সম্প্রতি পুনরায় কয়েক মাসের ব্যবধানে দুই শতাধিক ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কমপক্ষে ২০ শতাংশ। তিনি বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে এই দাম বাড়িয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি। ভঙ্গুর অর্থনীতি ও লুটপাটের রাজনীতির বলী হচ্ছে সাধারণ জনগণ। ওষুধ প্রশাসন এসব ক্ষেত্রে নীরব। ডা: রফিক বলেন, এভাবে হুট করে দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকেই মাঝপথে ওষুধ সেবন বন্ধ করে দিচ্ছে, ফলে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের দাম বাড়ার কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো এই সব ওষুধ বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগসহ নানা অসংক্রামক রোগের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিকেরও উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোর্স সম্পন্ন না করে এন্টিবায়োটিক বন্ধ করলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়, যা শীর্ষ ১০টি জনস্বাস্থ্য হুমকির একটি। একই সাথে ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগের ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে মারাত্মক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। যারা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার জন্য তাদের মাসিক খরচ দুই থেকে চার হাজার টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা