১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আমানতের করের হার দ্বিগুণ হচ্ছে

-

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘কোম্পানি’ হিসেবে বিবেচনা করে তাদের সঞ্চয়ী ও স্থায়ী আমানতের সুদ বা মুনাফার ওপর করের হার দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগে যেখানে এই করের হার ১০ শতাংশ ছিল এখন নতুন অর্থবছরে করের এই হার ২০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে সরকারের এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমালোচনা করছে। তারা মনে করেন এটি শিক্ষকদের ওপর অযৌক্তিক করের বোঝা চাপিয়ে দেবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান নষ্ট করবে।
১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনে সংজ্ঞায়িত কোম্পানি, ব্যাংক-বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদেশী লিয়াজোঁ অফিস, রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস বা ব্র্যাঞ্চ অফিস, বিদেশী সত্তা বা ব্যক্তির স্থায়ী কোনো প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠন, ফাউন্ডেশন, সমিতি, সমবায় সমিতি আয়কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী কোম্পানি। তাদের সঞ্চয়ী ও স্থায়ী আমানতের সুদ বা মুনাফার বিপরীতে ২০ শতাংশ করের বিধান রয়েছে।
এই তালিকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আগেই স্থান করে নিয়েছিল। এবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও কোম্পানির আওতায় ফেলে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ২০ শতাংশ কর কর্তনের বিধান করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সরকার বা সরকারের অনুমোদনক্রমে তফসিলভুক্ত কোনো ব্যাংকের স্পন্সরকৃত কোনো ডিপোজিট পেনশন স্কিম থেকে এবং এনবিআরের বিশেষ আদেশে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো সত্তার ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হবে না। তবে আগামী বাজেটে কোম্পানির ২০ শতাংশ করহারের তালিকায় যুক্ত হবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষকদের আয় কমে যাবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা ও উন্নয়ন ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল কমে যাবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষার্থীদের ফি বৃদ্ধি পেতে পারে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের দাবি, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আয়কর আইনের আওতায় আসার যোগ্য। তারা যুক্তি দেন যে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো বড় আকারের আমানত রাখে এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মুনাফা অর্জন করে। সরকার এই কর আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি করতে চায়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কর না বাড়িয়ে শিক্ষাবিদরা সরকারকে নতুন করদাতা শনাক্ত করে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তারা মনে করেন, করের হার বৃদ্ধি করার পরিবর্তে সরকার উচিত করের আওতায় আসা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভিসি অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমি এ বিষয়টি এখনো পরিষ্কারভাবে জানি না। এমনিতে টাকার সঙ্কটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে কষ্ট হয়। বাজেটে করের বিষয়টি বিস্তারিত জেনে তারপর মন্তব্য করব।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল