নোয়াখালীতে তরুণী ও সিলেটে গৃহবধূকে ধর্ষণ
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৪ জুন ২০২৪, ০১:৫৩
নোয়াখালীর চাটখিলে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে এক ভুয়া ডাক্তার। সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
নোয়াখালী অফিস জানায়, নোয়াখালীর চাটখিলে ভুয়া ডাক্তারের হাতে এক কলেজ ছাত্রী (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল সোমবার আসামিকে নোয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে চাটখিল থানার পুলিশ। তার আগে গত রোববার রাতে চাটখিল বাজার থেকে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সাথে এই ভুয়া ডাক্তারের চেম্বার সীলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গ্রেফতার কৃত নুর হোসেন পলাশ (৪৫) উপজেলার চাটখিল পৌরবাজারের রক্তিম রোজ মেডিসিন পার্কের মালিক ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোবিন্দপুরের গনি মিয়া সাব বাড়ির খোরশেদের ছেলে। ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিকেল ৪টার দিকে তরণীকে কিছু মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখার জন্য তাকে তার চেম্বারে ডেকে নেন নুর হোসেন পলাশ। চেম্বারে যাওয়ার পর তার মাস্ক খুলে তার নাকের কাছে কিছু একটা ধরে তাকে অবচেতন করে তার চেম্বারের পেছনে আলাদা কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে অভিযুক্ত নুর হোসেন তাকে ছুরি দেখিয়ে এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। ভুক্তভোগী শুরুতে ভয়ের কারণে পরিবারের কাছে বিষয়টি গোপন রাখলেও, কয়েক দিন পর চিরকুট লিখে মাকে ঘটনাটি জানান। ভুক্তভোগীর বাবা নেই, মা ছোট একটা চাকরি করে সংসার চালায়। চাটখিল থানার ওসি ইমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গতকাল দুপুরে আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কলেজ ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) সংবাদদাতা
সিলেটের গোলাপগঞ্জে গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় দুই আসামিকে আটক করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার গোলাপগঞ্জ পৌরসভার টিকরবাড়ি গ্রামের মৃত মফিক মিয়ার ছেলে নাদির আহমদ (২৩) ও একই উপজেলার আমুড়া ইউপির আমুড়া গ্রামের মৃত লবিবুর রহমানের ছেলে ছালিক আহমদ (৪০)। আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ এলাকার সিএনজি অটোরিকশা চালকের স্ত্রী ৩০ মে দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য সিলেট কদমতলি পয়েন্ট থেকে ঢাকা দক্ষিণ স্বামীর বাড়িতে যান। সেখানে স্বামীকে বাড়িতে না পেয়ে পিত্রালয় সিলেটে যাওয়ার সময় অপর সিএনজি চালক নাদির আহমদ ধর্ষিতার স্বামী তার পূর্ব পরিচিত বলে জানায়। তিনি ধর্ষিতাকে স্বামীর কাছে পৌঁছিয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে সুকৌশলে নাদির আহমদ নিজ বাড়িতে নিয়ে আটক করে রাখেন। ওই দিন দিবাগত রাতে নাদির আহমদের বাড়িতে কোনো লোকজন না থাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ও প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে রাতভর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ওই দিন ফজরের আজানের পর সিএনজি অটোরিকশা চালক নাদির আহমদ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছালিক আহমদের কাছে নিয়ে আসে ধর্ষিতাকে। একপর্যায়ে নাদির আহমদ ও ছালিক আহমদ ধর্ষিতাকে উপজেলা সদরের আদিল মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটি প্যাসেজে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র ছোরা দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পরে ফের ধর্ষিতাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সিলেটগামী একটি সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে দেয়। ওই ঘটনায় ধর্ষিতা ও তার স্বামী গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় এসে অভিযোগ দাখিল করেন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গালাপগঞ্জ সার্কেল) এর নির্দেশে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুদুল আমিন ও অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুমন চন্দ্রের নেতৃত্বে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নাদির আহমদ ও ছালিক আহমদকে গ্রেফতার করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা