চট্টগ্রামে কোরবানির গবাদিপশুর চাহিদা ৮ লাখ ৮৬ হাজার

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কয়েক দিনের মধ্যে হাটবাজারে কোরবানির পশু বিক্রি বেশ জমে উঠবে। এবার ঈদুল আজহার কোরবানিতে চট্টগ্রামে গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ৮৫ হাজার৭৬৫টি। এর বিপরীতে গ্রামের গৃহস্থবাড়ি ও ছোট বড় খামরে প্রস্তুত রয়েছে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯টি। এর মধ্যে এবার চট্টগ্রামের হাটে ৫০ হাজারের বেশি রয়েছে চট্টগ্রামের স্থানীয় জাতের অষ্টমুখী লার ষাঁড়ের জোগান। গতকাল ২ জুন বিকেলে নয়া দিগন্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ড. মো: নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, এবার চট্টগ্রামের কোরবানিতে যে গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে তার বিপরীতে অন্তত ৫০ হাজারের বেশি আসবে চট্টগ্রামের সবার পছন্দের স্থানীয় জাতের অষ্টমুখী লাল ষাঁড় (রেড চিটাগাং ক্যাটল) ।
চট্টগ্রামের স্থানীয় জাতের রেড চিটাগাং ক্যাটল বা লাল ষাঁড় বা অষ্টমুখী লাল ষাঁড় যার। শিং ঠোঁট সমগ্র শরীর লেজ খুরা কানসহ আটটি অঙ্গই লাল। সে কারণে এ জাতের বাজারে উঠলেই ক্রেতাদের নজড় কাড়ে। এবার কোরবানিতে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি রেড চিটাগাং ক্যাটল মজুদ বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছর কোরবানিতে বড় বড় ষাঁড়-বলদের চেয়ে মাঝারি ও ছোট মানের পশুর চাহিদা গতবারের মতো এবারো বেশি দেখা যাবে বাজারে।

এবার কোরবানিতে সমগ্র চট্টগ্রামে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পশু বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতবার বিক্রি হয়েছিল ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকার পশু। গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্মকর্তা ডা: মো: আলমগীর। গত বছর চট্টগ্রামে চট্টগ্রামে পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ছিল ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৩টি। এ চাহিদার বিপরীতে স্থানীয়ভাবে মজুদ ছিল ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬৫টি। চলতি বছর চট্টগ্রামের কোবারনির চাহিদার বিপরীতে পশুর উৎপাদন বা যা মজুদ রয়েছে তার মধ্যে ষাঁড় রেড চিটাগাং ক্যাটল ৫০ হাজারসহ ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৫টি, মহিষ রয়েছে ৭১ হাজার ৩৬৫টি, ছাগল রয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩ টি, ৫৮ হাজার ৬৯২টি ও অন্যন্য জাতের রয়েছে ৪৪টি পশু, যা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর চট্টগ্রাম সূত্রে জানা গেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এবারের কোরবানিতে চট্টগ্রামে কোনো গবাদিপশুর ঘাটতি তেমন থাকবে না। যা ঘাটতি রয়েছে তা প্রতি বছরের মতো আশপাশের জেলা থেকেই চলে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।