১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
খেলাফত মজলিসের গোলটেবিলে নেতারা

ইসলাম বাঁচাও-মানুষ বাঁচাও দেশ বাঁচাও আন্দোলনে সবাই ঝঁাঁপিয়ে পড়ুন

ডিআরইউতে খেলাফত মজলিসের জাতীয় সঙ্কট উত্তরণের উপায় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক : নয়া দিগন্ত -

খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, ইসলাম বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও, দেশ বাঁচাও- আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। জগদ্দল পাথরের মতো জাতির ঘাড়ে চেপে বসা জুলুমবাজ সরকার পতনের জন্য ময়দানে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে খেলাফত মজলিস আয়োজিত ‘জাতীয় সংকট : উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে স্বাগত বক্তৃতা করেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন। যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী ও অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিলের পরিচালনায় বৈঠকে আলোচনা করেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আঁকন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাওলানা আবু তাহের জেহাদী, ঢাকা সিটি কলেজের ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, শাইখুল হাদীস পরিষদ সভাপতি মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম বদরুদ্দোজা, সাবেক সহকারী এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট শেখ রেজাউল করিম, নেজামে ইসলামী পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁঁইয়া প্রমুখ।

সামসুজ্জামান দুদু বলেন, লড়াই ছাড়া কোনো কিছু অর্জন হয় না। জালেমের সাথে কোনো আপস হবে না। পাতানো নির্বাচন দিয়ে এ সরকারের পতন হবে না। আন্দোলনের ডাক দিতে হবে। ময়দানে ঐক্য হবে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জাতীয় সঙ্কটের শুরু ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচন বানচালের মধ্য দিয়ে। এ সঙ্কট দেশের বাইরে থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করতে বাইরের শক্তি ষড়যন্ত্র করছে। এ অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে হবে।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, দেশের মূল সমস্যা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। ব্যাংকগুলোতে আওয়ামী লীগের লোক নিয়োগ দেয়ার কারণে লুট হয়ে গেছে। আমাদের আহ্বানে নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায়নি। এটা বিরোধী শক্তির বড় বিজয়। পরনির্ভরশীল এ সরকারকে এ মুহূর্তে হটাতে হবে।
মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, কালক্ষেপণ না করে আন্দোলনের যথাযথ কর্মকৌশল ঠিক করে এগুতে হবে। সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব পরিহার করতে হবে।
নুরুল হক নুর বলেন, দেশের প্রধান সঙ্কট রাজনৈতিক। সেখান থেকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিসহ সকল সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। নৈতিক মূল্যবোধ বিবর্জিত জনগোষ্ঠী সৃষ্টি হচ্ছে। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে আলেম-উলামাদের পক্ষ থেকে ডাক আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফি, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, মাস্টার আবদুল মজিদ, মাওলানা শেখ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা: রিফাত হোসেন মালিক, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement