০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১, ৫ রজব ১৪৪৬
`

খুলনা-মংলা রুটে আজ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

খুলনা মংলা রেললাইন : নয়া দিগন্ত -


খুলনা-মংলা রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল আজ থেকে শুরু হচ্ছে। বেলা ১১টায় ‘বেতনা এক্সপ্রেস’ ফুলতলা হয়ে মংলার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এই ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার ৭৩ বছর পর রেল যোগাযোগে যুক্ত হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মংলা। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি এই রেলপথ উদ্বোধন করেন। এর আগে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর ফুলতলা থেকে মংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হয়। স্থায়ী জনবল নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালু করা হচ্ছে বলে জানান খুলনা মংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম। জানা গেছে, খুলনা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত চলাচল করে বেতনা এক্সপ্রেস নামে একটি লোকাল ট্রেন। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ফেরার পথে খুলনার ফুলতলা জংশন থেকে মংলার দিকে যাত্রা করবে। তখন ফুলতলা থেকে মংলা পর্যন্ত ট্রেনটি মংলা কমিউটার নাম ধারণ করে চলবে।
নতুন এই রুটে মংলা কমিউটার নামে একটি ট্রেনই আপাতত চলাচল করবে। ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার। খুলনা থেকে ভোর সোয়া ৬টায় ছেড়ে বেনাপোলে পৌঁছবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এরপর বেনাপোল থেকে ছেড়ে ফুলতলা হয়ে মংলা পৌঁছবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। ফুলতলা থেকে যাওয়ার পথে মংলা কমিউটার মোহাম্মদনগর, কাটাখালী ও চুলকাটি বাজার রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি দেবে। মংলা থেকে বেলা ১টায় ট্রেনটি ছেড়ে বেনাপোল পৌঁছবে সাড়ে ৪টায়।

খুলনা-মংলা রেলপথ প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১০ সালে। এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি তিনটি ভাগে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্যাকেজ-১ রেললাইন নির্মাণ, প্যাকেজ-২ রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু ও প্যাকেজ-৩ টেলিযোগাযোগ ও সিগন্যালিং সিস্টেম। এসব প্রকল্পের আওতায় মূল লাইনসহ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬.৮৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৬৪.৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। আর রূপসা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৫.১৩ কিলোমিটার রেলসেতু।
জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন, রেলসেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১,৭২১ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩,৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০২১ সালে আবার সময় ও ব্যয় দুটিই বাড়ানো হয়। তখন ব্যয় দাঁড়ায় ৪,২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, দেশের বৃহত্তম দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মংলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত মংলা খুলনা শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে পশুর নদী ও মংলা নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা মংলা বন্দর দিয়ে দ্রুত সময়ে ও কম খরচে মালামাল নিতে পারবেন। গতিশীল হবে মংলার সাথে যাতায়াত সুবিধা।


আরো সংবাদ



premium cement
ভয়ঙ্কর রূপে তালিকাভুক্ত ৯৭৯ ছিনতাইকারী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিশ্বমানের উদ্যোগ আরামকোর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানানো হয়নি : সৌদি রাষ্ট্রদূত সরবরাহ বাড়লেও কাটেনি গ্যাসসঙ্কট মনের সংস্কার ছাড়া কোনো সংস্কারে কাজ হবে না যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজায় ইসরাইলের বর্বরতা সম্মেলনে অংশ নিতে কাবা শরীফের সাবেক ইমাম বুখারি আসছেন দরপত্রে শর্ত দিয়ে কাজ বাগিয়ে শর্ত বিলোপ সরকারের ক্ষতি ১২৫ কোটি টাকা টঙ্গীতে কলেজছাত্রী, জকিগঞ্জে বৃদ্ধ নিহত বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ইউকের প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টার আহ্বান

সকল