এএপিটিসির এজিএম ও ওয়ার্কশপ উদ্বোধন
- ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তিরক্ষা অপারেশনের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত সব প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়া-প্যাসিফিক পিস অপারেশন ট্রেনিং সেন্টার (এএপিটিসি)-এর ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা এবং ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট), রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। প্রযুক্তির উন্নয়ন ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঝুঁকির কারণে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা পরিবেশ অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে। এই পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির গতি প্রকৃতি মূল্যায়ন ও তা মোকাবেলায় ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের রূপরেখা প্রণয়ন ছিল এবারের এএপিটিসির বার্ষিক সাধারণ সভার মূল উদ্দেশ্য।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, বাংলাদেশ তথা বিপসট এ প্রথমবারের মতো এএপিটিসি এর বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন নিঃসন্দেহে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ত্যাগ, অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের এক অনন্য স্বীকৃতি। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় অঙ্গনে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শান্তি কেন্দ্রিক উন্নয়নের যে মডেল জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনে উপস্থাপন করেছিলেন তা আজকের সঙ্কটময় নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরো বেশি প্রাসঙ্গিক। পাশাপাশি তিনি জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর অনুকরণীয় পেশাদারিত্ব ও সফলতার চিত্র তুলে ধরেন এবং শান্তিরক্ষীদের উঁচুমানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকরণে বিপসটের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বহুপাক্ষীক সহযোগিতার ওপরে গুরুত্বারোপ করেন। পরিশেষে তিনি আশা ব্যক্ত করেন, চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আলোচনা ফলপ্রসূ হবে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে যা এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোকে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করবে। অতঃপর সেনাবাহিনী প্রধান জাতিসঙ্ঘ শান্তি অভিযানের সিম্যুলেশন প্রশিক্ষণ, ‘United Nations Peace Operation Simulation Training (UNPOST)’ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে জাতিসঙ্ঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা, বাংলাদেশে নিয়োজিত জাতিসঙ্ঘের আবাসিক প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডিফেন্স/মিলিটারি অ্যাটাশেরা, ঊর্ধ্বতন সামরিক, আধা-সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা, জাতিসঙ্ঘের অন্যান্য সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধি, এএপিটিসির সদস্যভুক্ত ২৬টি দেশের প্রায় ৫০ জন বিদেশী প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলন। আইএসপিআর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা