আশুলিয়ায় প্রচণ্ড গরমে কদর বেড়েছে তালের শাঁসের
- তুহিন আহামেদ আশুলিয়া (ঢাকা)
- ২৬ মে ২০২৪, ০১:২৫
দিনমজুর, বৃদ্ধ, শিশু ও নারীসহ নানা বয়সীরা প্রচণ্ড গরমে কিছুটা প্রশান্তির জন্য খাচ্ছে সুস্বাদু তালের শাঁস। তালের শাঁস খেতে যেমন অনেক স্বাদ তেমনি রয়েছে নানা পুষ্টিগুণও। আর সুস্বাদু হওয়ায় গরমে মানুষের কাছে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে। শনিবার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কথা হয়েছে তালের মৌসুমি ব্যবসায়ীসহ নানা বয়সী মানুষের সাথে।
সরেজমিন, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার শিমুলিয়ার শিমুলিয়া বাজার, আমতলা বাজার, গোহাইলবাড়ি মেশিনপাড়, কলাবাগান, টেংগুরি, জিরানী বাজার, কবিরপুর, মোজারমিল, শ্রীপুর, বলিভদ্র বাজার, ইপিজেডের সামনে, বাইপাইল, পল্লীবিদ্যুৎ, পলাশবাড়ি, জামগড়া, নরসিংহপুর, জিরাবো ও আশুলিয়া বাজারসহ শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় তালের শাঁস বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, বেশি গরম আবহাওয়া থাকলেও তালের শাঁস শীতল থাকে। তাই এই গরমে তালের শাঁস মানুষের কাছে প্রিয় একটি খাবার। বিভিন্ন এলাকা থেকে তাল সংগ্রহ করে তা রাস্তার পাশে বসেই বিক্রি করা হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর দাম একটু বেশি। তবে তিন চোখের (শাঁসের) একটি তাল তারা বিক্রি করছেন ২০ টাকা এবং দুই চোখের (শাঁসের) একটি তাল বিক্রি করছেন ১৫ টাকা। অনেক ব্যবসায়ী একটি শাঁস বিক্রি করছেন ৫ টাকা করে। এতে তাদের লাভ ভালোই হচ্ছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। আশুলিয়ার টেংগুরি এলাকায় তাল বিক্রি করছেন শাহাদাত হোসেন নামে এক ব্যক্তি। কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তিনি তালের শাঁস বিক্রি করছেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর খরচ বেশি। তাই আগে একটি তালের শাঁস বিক্রি করতো ৫ টাকা কিন্তু এ বছর তিনি ১০ টাকা করে বিক্রি করছেন। তিনি জানান, বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিশেষ করে গার্মেন্ট শ্রমিকরা দুপুরে বিরতির সময় তালের শাঁস খেয়ে তৃপ্তি ও প্রশান্তি পান। অনেকেই পরিবারের সদস্যদের জন্য তালের শাঁস কিনে নিয়ে যান বাসায়। এরপরও তালের শাঁসের দাম খুবই সীমিত বলে ধনী গরিব সবাই কিনে খাচ্ছেন। মৌসুমি ফল আম, লিচুসহ অন্যান্য ফলের ক্ষেত্রে বিষাক্ত ফরমালিন করে থাকে। কিন্তু তালের শাঁস পাকাতে কিংবা দীর্ঘ সময় তরতাজা রাখতে ফরমালিন লাগে না। যার কারণে তালের শাঁসের কদর বেশি বলেও যোগ করেন তিনি।
আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ি মেশিনপাড়ে মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে তালের শাঁস কিনছেন রাবেয়া আক্তার নামের এক নারী। তিনি জানান, ছেলেকে মাদরাসা থেকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। পথে তালের শাঁস দেখে নিতে মন চাইল। আজ রোদ এবং গরম দুটুই বেশি। তাই ভাবলাম কিনে দেই। খেলে একটু হলেও ভালো লাগবে। আর এগুলো খেতেও বেশ সুস্বাদু।
কলাবাগান এলাকায় তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি জানান, প্রচণ্ড রোদ আর গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। কোনো কিছু খেতে ভালো লাগে না। কিন্তু অতিরিক্ত গরমেও তালের শাঁস খেতে ভাল লাগে। তাই খাচ্ছি। আবার শুনেছি এতে পুষ্টিগুণও আছে। পানি ও শাঁস খেয়ে প্রচণ্ড পরিতৃপ্তি পান বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: মো: শফিকুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, তালের শাঁসে প্রায় ৮০ শতাংশ পানি রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে কার্বহাইড্রেট, অল্প পরিমাণ প্রোটিন ও ফ্যাট। রয়েছে ভিটামিন এ বি সি এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ উপাদান। যার ফলে শরীরের জন্য তালের শাঁস খুবই উপকারী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা