১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তেজগাঁও ডিম সমিতির কারসাজিতে দাম অস্থির

-

তেজগাঁও ডিম সমিতির কারসাজিতে বাজারে ডিমের দাম অস্থির বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সারা দেশে হঠাৎ করেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিমের বাজার অস্থির হয়ে যায়। এর নেপথ্যে রয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির কারসাজি। কেননা তারাই সারা দেশে ডিমের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করেন। এতে বলা হয়, মোবাইল এসএমএস ও ফেসবুকের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে বাড়তি বা কম দাম বাস্তবায়ন করে তেজগাঁও ডিম সমিতি। তারা কম দামে ডিম কিনে নিয়ে কোল্ড স্টোরেজ করে পরবর্তীতে সেই ডিম সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করে। তেজগাঁও ডিমের বাজার থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করে সাধারণ ডিম ব্যবসায়ীরা সেই দামে কিনতে বাধ্য হন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো: সুমন হাওলাদার বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে একটি ডিমের উৎপাদন করতে খামারির খরচ হয় সাড়ে ৯ থেকে সাড়ে ১০ টাকা। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকা। আমরা ডিমের এই দাম যৌক্তিক বলে মনে করছি। এখন ডিমের বাজার স্থির থাকায় উৎপাদক (খামারি) ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে এবং ভোক্তাও ন্যায্যমূল্যে ডিম কিনে খেতে পারছে। কিন্তু ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ও করপোরেট কোম্পানিগুলোর কারসাজিতে মাঝে মধ্যে বাজার অস্থির হয়ে যায়। খামারিরা তখন ডিম উৎপাদন খরচও তুলতে পারেন না।
তিনি বলেন, খামারি মালিক থেকে চার দিন পরপর ডিম কিনে আড়তদার। খামারি চাইলে অন্য কারো কাছে ডিম বিক্রি করতে পারে না। একই পাইকারের কাছে ডিম বিক্রি করতে হয়। তেজগাঁও ডিমের বাজার থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করে সাধারণ ডিম ব্যবসায়ীদের সেই দামে কিনতে হয়। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ওঠানামা তেজগাঁও ডিম সমিতির নির্ধারিত দামের ওপর নির্ভর করে।

তার অভিযোগ ঢাকা কাপ্তানবাজার ডিম সমিতি সাভার, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, স্বরূপকাঠি, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ রংপুর এই দাম অনুসরণ করে। এরপরে তারা কম দামে ডিম কিনে কোল্ড স্টোরেজ করে পরবর্তীতে সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করে অতি মুনাফা করছে। অন্য দিকে উৎপাদক ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছে। বিপিএর উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য চাষি মামুন বলেন, ছোট ছোট কৃষি ও শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মধ্যস্বত্বভোগী, সিন্ডিকেট ও করপোরেট ব্যবসায়ীর স্বার্থে এটি করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ধ্বংস করে কোনো দেশ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। সংবাদ সম্মেলনে ডিম ও মুরগির সঙ্কট নিরসন, বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা ও প্রান্তিক পোলট্রি খামারিদের সুরক্ষায় আগামী বাজেটে এক হাজার কোটি টাকা তহবিল বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। সেই সাথে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা অসাধু সিন্ডিকেটকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেন সংগঠনটি। এ সময় বিপিএর সহসভাপতি বাপ্পি কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার এবং প্রান্তিক খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজিচালক নিহত বরখাস্ত সিপাহী শাহীন বাহিনী সম্পর্কে অপপ্রচার করছেন : বিজিবি সব কোচের সাথে যেন সমান বিচার করা হয় : বার্সেলোনা কোচ বিজয় দিবসে শিশু পার্কে বিনা টিকিটে প্রদর্শনীর নির্দেশ লাউয়াছড়া বনে পাহাড়িকার চার বগি বিচ্ছিন্ন খুলনায় হাসিনা ফিরে আসার ভিডিও, তদন্তে ৪ সদস্যের টিম বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী পাকিস্তান আরএনপিপিতে শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে রুল আধিপত্যবাদমুক্ত একটি ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র উপহার দিবে জামায়াত : গোলাম পরওয়ার বিদেশে চিকিৎসায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার হারাচ্ছে বাংলাদেশ : গভর্নর সিংগাইরে হিছা খা হত্যা মামলায় গ্রেফতার ২

সকল