চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল মানুষের আস্থার প্রতিষ্ঠান
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০
চিকিৎসাব্যবস্থাকে আরো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে সংযোজিত হলো বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বিশ্ববিখ্যাত জার্মান প্রযুক্তির সিমেন্স হেলথ কেয়ারের ফোর্থ জেনারেশন থ্রি টেসলা এমআরআই ৬৪ চ্যানেল ও ১২৮ স্লাইস সিটি স্ক্যান। গতকাল দুপুরে নগরীর দি পেনিনসুলা চট্টগ্রামের হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দু’টি মেশিন উদ্বোধন করা হয়।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: এ কিউ এম মোহসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক ডা: মুজিবুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: এ কে এম ফজলুল হক। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা: নুরুন্নবী।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল অনেক দিন ধরে মানুষের কল্যাণে, মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করে যাচ্ছে। তারা নিশ্চিতভাবে মানুষের আস্থার একটি প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য মানুষের পছন্দের একটি প্রতিষ্ঠান। উন্নত প্রযুক্তির এমআরআই মেশিন ও সিটি স্ক্যান স্থাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরো দৃঢ় এবং নিশ্চিত করবে।
বিশেষ অতিথি ডা: মুজিবুল হক খান বলেন, অত্যাধুনিক এই দু’টি মেশিনের সংযোজন নিশ্চিতভাবেই চট্টগ্রামের চিকিৎসাব্যবস্থাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। ঢাকার সাথে তুলনা করলে চট্টগ্রাম অনেক পিছিয়ে আছি, উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পেছনে কারণ একটাই যেটার জন্য আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি চিকিৎসক সুরক্ষা আইনটা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে এর কিছুটা সুরাহা হবে। তিনি বলেন, চিকিৎসক কোনো ভুল করলে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বিএমডিসি রয়েছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। কিন্তু তার আগেই আইনের বাইরে গিয়ে মানুষ ডাক্তারদের দায়ী করে হেনস্তা করছে। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ডাক্তারি পেশা ধ্বংস হয়ে যাবে। অলরেডি মেধাবী ছাত্ররা এই পেশায় আসতে চাচ্ছে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেন আসবে? অথচ বিদেশে ডাক্তারদের সাথে খারাপ ব্যবহারও করা যায় না। সরকারের একার পক্ষে জনগণের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব না। বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তৃতায় প্রফেসর ডা: এ কিউ এম মোহসেন বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ যতটুকু পিছিয়ে আছে তা খুবই সামান্য এবং সহজেই পূরণযোগ্য। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য যতটুকু প্রয়োজন মেট্রোপলিটন হাসপাতাল তার সবটুকু দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: এ কে এম ফজলুল হক বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল চট্টগ্রামে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বেসরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। জেনারেল হাসপাতালের কনসেপ্ট থেকে আমরা এখন সুপার স্পেশালিটিতে যাচ্ছি।
আমাদের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হার্ট সেন্টার একটি সুপার স্পেশালিটি হার্ট সেন্টার। এটার মাধ্যমে হার্টের বিশ্বে যত ধরনের চিকিৎসা আছে, আমাদের এই হার্ট সেন্টারে সবকিছুই আছে ভাসকুলার সার্জারিসহ। মেট্রোপলিটন অ্যাডভান্সড সেন্টার ফর গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড লিভার ডিজিজ, মেট্রোপলিটন স্পেশালিটি সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজ। ইউরোলজি-নেফ্রোলজি দু’টি মিলিয়ে আমরা কিডনি ডিজিজেস সুপার স্পেশালিটিতে যাচ্ছি ডায়ালাইসিসসহ। আমাদের নেফ্রোলজি টিম চট্টগ্রামের সেরা টিম। তিনি বলেন, মেট্রোপলিটন সেন্টার ফর নিউরোসায়েন্সের আওতায় এখানে নিউরোসার্জারিসহ সব ধরনের সার্জারির ব্যবস্থা থাকছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা