স্ত্রীসহ সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল বারিক ও তার স্ত্রী ফেরদৌস ইয়াসমিন খানমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সোমবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন বাদি হয়ে একই কার্যালয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আবদুল বারিক ও তার স্ত্রীকে সম্পদ বিবরণী চেয়ে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে নোটিশ দেয় দুদক। জমা দেয়া সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইয়ের পর দেখা গেছে, ফেরদৌস ইয়াসমিন খানম এক কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক।
এজাহারে আরো বলা হয়, পেশায় গৃহিণী হয়েও স্বামীর অবৈধ আয়ে এসব সম্পদের মালিক হন ফেরদৌস ইয়াসমিন খানম। অপরদিকে, আবদুল বারিক এক কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।
সূত্র বলছে, নগরের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি এবং খুলশীতে ফ্ল্যাট, আড়ুবাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় বিলাসবহুল ভবন, হালিশহর সোনালি আবাসিক এলাকায় নিজের চার গণ্ডা জমির উপর ভবন, ঢাকার আশকোনায় নুর কাদের হাইটসে ফ্যাট, মোহাম্মদিয়া হাউজিংয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ কাঠা জমি, ঢাকার রামচন্দ্রপুরে ৩০ কাঠা জমি, নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে টিনশেড ঘরসহ ৩ কাঠা জমি, বেগমগঞ্জের রশিদপুরে ৭ কাঠারও বেশি জমি, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার রশিদপুরে ছেলের নামে ৩০ কাঠা জমি কিনেছেন আব্দুল বারিক।
এছাড়া কোটি টাকার অংশীদারিত্ব রয়েছে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতাল, ফেনীর উত্তরা হাসপাতাল, আলকেমী হাসপাতাল এবং এইচবি অটোমোবাইলসে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন জানান, সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইয়ে তারা সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল বারিক ও তার স্ত্রীর নামে অবৈধ সম্পদ থাকার এবং সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পেয়েছেন। তাই একটি মামলায় স্ত্রীসহ আবদুল বারিককে আসামি করা হয়েছে। আরেকটি মামলায় শুধু আবদুল বারিককে আসামি করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা