দৈনিক ৩.৮৪ কোটি মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২২ মে ২০২৪, ০০:০৫
জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনে প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি ৮৪ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ধূমপান করে আবার একইসংখ্যক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইনের দুর্বলতার কারণে এটা হচ্ছে। সে কারণে বাংলাদেশে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ভবনের শহীদ ডা: শামসুল আলম খান সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এই পরামর্শ দেন। পরোক্ষ ধূমপানেও ক্ষতি হয়।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা: রোকেয়া সুলতানা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো: রাশেদ রাব্বি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন- বিএমএ’র মহাসচিব ডা: এহতেশামুল হক চৌধুরী, বিএমএ’র সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: মো: তারেক মেহেদী পারভেজ ও দফতর সম্পাদক অধ্যাপক ডা: মো: শেখ শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি ডা: গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক প্রমুখ।
ডা: রোকেয়া সুলতানা বলেন, জনস্বাস্থ্যকে সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। তামাকের ক্ষতি থেকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উপনীত করতে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
অধ্যাপক সোহেল রেজা বলেন, দেশে তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে প্রতি বছর প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। এর কারণ বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখনো সর্বোত্তম মান অর্জন করতে পারেনি। তাই বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উপনীত করতে দ্রুত এফসিটিসি’র আলোকে সংশোধন করা প্রয়োজন। অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও শাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশই অসংক্রামক রোগের কারণে ঘটছে। আর এই অসংক্রামক রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা