১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বৈষম্য কমাতে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে হবে : ড.খলীকুজ্জমান

-


অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সব শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরিসহ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিগত এক যুগে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে এর সামান্যই এ দেশের সাধারণ শ্রমিক পেয়েছেন। মূল্যস্ফীতির উঁচু মাত্রার কারণে বিগত প্রায় দুই বছর ধরে স্বল্প আয়ের মানুষদের ওপর চাপ অনেক বেড়েছে। সুতরাং বৈষম্য কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের ঘোষিত যে নীতি রয়েছে সেটি বাস্তবায়নের দিকে নজর দেয়া জরুরি। গতকাল রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস আয়োজিত মে দিবসের স্মারক বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান মো: মজিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিলসের মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের নেতারা, নাগরিক সমাজ ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি এবং পেশাজীবী সংগঠনগুলোর নেতারা।

শিল্পের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত মজুরি পরিবারের সবার শোভন জীবন ধারণের জন্য পর্যাপ্ত কি না এ প্রশ্ন রেখে খলীকুজ্জমান বলেন, তৈরি পোশাক খাতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়, বৃদ্ধির অনুপাতে যা উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু পারিবারিক শোভন জীবন-ধারণ বিবেচনায় যা বাড়ানো হয়েছে তা অপ্রতুল। আর অব্যাহত মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে বর্তমান মজুরি নিতান্তই অপ্রতুল। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭০ টাকা করা হলেও এর ভিত্তি এত স্বল্প যে এ বৃদ্ধি প্রকৃত অর্থে তেমন কিছুই নয়।

ভারতে শিল্প ও সামাজিক সুরক্ষা আইন ও বিধিমালার আওতায় চা শ্রমিকরাও সুযোগসুবিধা পেয়ে থাকেন। সুতরাং বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের জীবনমান শোভন পর্যায়ে উন্নয়নের দাবি রাখে।
শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচ্য হিসেবে উল্লেখ করে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির সাথে যেসব শ্রমিক সংগঠন একাত্ম থাকতে পারেনি তারা বিলীন হয়ে গেছে।
তারা বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা এখনো শ্রমিকের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছেন এবং তারা এখনো বৈষম্যের শিকার, বিশেষ করে ন্যায্য মজুরি, আইনি মর্যাদা ও সামজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement