‘জামায়াত নেতাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে’
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৯ মে ২০২৪, ০০:০৫
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে মিথ্যা মামলা, বানানো সাক্ষী ও সাজানো রায় দিয়ে জামায়াত নেতাদের কাউকে কারারুদ্ধ করে বিনা চিকিৎসায়, কাউকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের নেতাদের সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের সম্মানিত নেতাদের ভয়ঙ্কর আসামিদের মতো কোমরে রশি ও পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা, বারবার জামিন পাওয়ার পরও জেলগেটে নতুন মামলা দিয়ে আবারো গ্রেফতার করাসহ প্রতিনিয়ত অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। এসব জুলুমের অবসানে আইনজীবীদের ধৈর্যের সাথে পথ চলতে হবে। অর্থের পেছনে না ছুটে মানবিক দিক বিবেচনায় মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত নবীন আইনজীবীদের সংবর্ধনা-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও আইন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা বার সমিতির সাবেক এ জি এস, মো: মঈন উদ্দীন। আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক মো: সিবগাতুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যারা আইনাঙ্গনে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন, তাদের চলমান জুলুমের অবসান ঘটাতে আইন-আদালত ও বিচার অঙ্গনকে সংগ্রামের অংশ হিসেবে বেছে নিতে হবে। নেতাদের প্রতি যে জুলুম করা হয়েছে, তাদের কথা বুকে ধারণ করে এবং তাদের রেখে যাওয়া আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আইনজীবীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, যে তরুণরা আইনজীবী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন, তাদের মনে রাখতে হবে আপনাদের এ যাত্রা অত্যন্ত কঠিন! আপনারা একটি সংগ্রামী জীবন থেকে নতুন আরেকটি সংগ্রামী জীবন বেছে নিয়েছেন। এ সংগ্রামের সফলতা নির্ভর করছে আপনাদের ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ়ভাবে লেগে থাকার ওপর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আইন অঙ্গনে সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক নেতাদের ওপর যে অবিচার করা হচ্ছে, তার মোকাবিলায় আমাদের সফল আইনজীবীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। সফলতার প্রধান শর্ত হলো নীতি, সততা ও পরিশ্রম। জানার জন্য পড়াশোনা, অভিজ্ঞতার জন্য বিজ্ঞদের কাছাকাছি থাকা এবং অধ্যবসায় ও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারলে কাক্সিক্ষত মঞ্জিলে পৌঁছা সম্ভব। আইন অঙ্গনে সফল ব্যক্তির আধিক্য যেকোনো লক্ষ্য বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারবে।
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, যারা নতুন আইন পেশা শুরু করছেন, তাদের পরিচয় শুধু একজন আইনজীবী নয়, তারা একটি বিপ্লবী আন্দোলনের কর্মী। আর বিপ্লবীদের সাহসী হতে হয়। আমাদের আন্দোলনের জন্য আইনজীবীরা যে ভূমিকা পালন করেছেন, সেটা অবিশ্বাস্য! তাদের অবদান অনস্বীকার্য। আপনাদেরও সেই ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে। দেশের প্রতিটি সেক্টরের মতো বিচার বিভাগকেও দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচারকের আসনে বসে যারা অবিচার করে তাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা