জামিনে আসা আসামির হুমকিতে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগীরা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
জামিনে বেরিয়ে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি তাওলাদ ওরফে জুয়েলের হুমকিতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন বাদিসহ অন্যরা। ২০০৩ সালে নিজের বোন ও দুলাইভাইকে হত্যার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি মাদক কারবারিসহ কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। থানা ও আদালতে তার নামে এ পর্যন্ত প্রায় ১৮টি মামলার রয়েছে বলে গেছে। এসব মামলায় সে কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছে। তবে কয়েক মাস পর বের হয়ে আবারো শুরু করে অপরাধমূলক কার্মকাণ্ড। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগীরা জানান, তাওলাদের পৈতৃক বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার লালাটি এলাকায় হলেও বর্তমানে তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাছিমপুর দেওয়ান বাড়ি এলাকার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। সেখান থেকেই পরিচালনা করছেন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। জানা যায়, ২০০৩ সালে তাওলাদের বিরুদ্ধে তার আপন বড় বোন রেহানা বেগম ও বোন জামাই নূরা মিয়াকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ জোড়া খুনের দায়ে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়।
পরে সে সেখান থেকে পালিয়ে মাছিমপুর এলাকায় আত্মগোপন করে। সেখানে অবস্থান পাকা করতে ওই এলাকায় বিয়ে করে গড়ে তোলেন কিশোরগ্যাং, মাদক কারবারি, চাঁদাবাজি, চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিশাল বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে এলাকার উঠতি বয়সী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। নিরীহ মানুষের জমি দখল করাসহ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে চাঁদাবাজীসহ মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী দলের লিডার শওকতের সাথে মিলে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল তাওলাদ। পরে শওকত র্যাবের ক্রসফায়ারে মারা গেলে তার বাহিনীর প্রধান হয় তাওলাদ হোসেন। এর পরে থেকে ভয়ঙ্কর রূপে আভির্ভূত হয়ে একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
নারায়ণগঞ্জ (গ) সার্কেল এএসপি হাবিবুর রহমান জানান, তাওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় ও কোর্টে একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি সব মামলায় জামিনে আছেন, তবে তিনি জামিনে বের হয়ে যদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হন তাহলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা