১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আজিমপুর বড় দায়রা শরিফের উত্তরাধিকারী ২ এতিমকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ

-

আজিমপুর বড় দায়রা শরিফের উত্তরাধিকারী দুই এতিম সন্তানকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন ওই এতিমদের মা ফারজানা হক লিমা। এসময় দুই সন্তান সৈয়দ শাহ ফারহাদ উল্লাহ ইয়াসিন (১৫) ও মেয়ে সৈয়দা তানজিয়া বেগম ত্রশী (২১) উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে লিমা বলেন, আজিমপুর বড় দায়রা শরিফের মোতাওয়াল্লি আমার শ^শুর মরহুম সৈয়দ শাহ ফজলুল্লাহর চার ছেলে দুই মেয়ে। তার মধ্যে আমার স্বামী সৈয়দ শাহ বারাতুল্লাহ রজতুলা ওরফে তানভির। তাদের চার ভাইয়ের মধ্যে আমারই শুধু একটি ছেলেসন্তান রয়েছে, যা কোনোভাবেই মানতে পারছে না আমার ভাসুর ও ননদরা। তারা আমাদেরকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এর মধ্যে আমার স্বামী তানভীর মারা যান। এরপরই দুই এতিম সন্তানসহ আমার ওপর নির্যাতন শুরু করে তারা। আমি বিচারের জন্য মামলা দায়েরসহ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ ১২টি দফতরে একাধিকবার আবেদন করেছি। পরে পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করা হলে তিনি লালবাগের ডিসিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি এসি আশফাক চৌধুরীকে নির্দেশ দিলে তিনি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। এরপর সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করে বাড়িসহ অন্যান্য বিষয়ে আমাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেন।
গত ১০ মাস সেভাবেই চলছিল। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তারা বদলি হওয়ায় আমাদের ওপর নতুন করে শুরু হয় অত্যাচার নির্যাতন। গত মাসের ২৯ তারিখ আসামি আরফানা বেগম, আরিফুল ইসলাম সিফাত, জহিরুল ইসলাম বাচ্চু, ফজিলাতুন্নেসা তন্নীসহ আরো ১২ জন লালবাগ থানার এসআই রাজিবের সামনে আমাদেরকে বেধড়ক মারধর করে। আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও তারা এতিম দুই সন্তানসহ আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে যে বাড়ি ভাড়ার টাকা দিয়ে সংসার চালাতাম পুলিশের সহযোগিতায় সেই ভাড়া বন্ধ করে দিয়েছে। এখন স্কুল-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া দুই সন্তান নিয়ে আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।


আরো সংবাদ



premium cement