সৈয়দপুরে অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ : দুই ভাই কোটিপতি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে দুই ভাই মিলে থাইগেম ও ভিসা প্রতারণার চক্রে গড়ে তুলেছেন। তারা প্রতারণার টাকায় ফুলে ফেঁপে এখন রাতারাতি কলাগাছ। ওই চক্রটি গড়ে তুলেছে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের পলিপাড়ার আকালুর ছেলে মিনহাজুল হক ওরফে শুকারু ও বিষাদু। তাদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিআর মামলা নং-২৮১ ও এফ আই আর নং-২২।
জানা যায়, বিষাদু ও মিনহাজুল দীর্ঘদিন ধরে ভিসা ও থাই জুয়া খেলে আসছে। এ ছাড়া কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইটালিসহ বিভিন্ন দেশে নকল ভিসা দিয়ে অনেকের কাছে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের দুই ভাইয়ের প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী জানান, আকালু একজন সামান্য কৃষি ও ইটভাটায় কাজ কাজ করে কোনোরকমভাবে সংসার চালাতেন । তার ছেলে মিনহাজুল ট্রলিচালক। আরেক ছেলে বিষাদু তেমন কিছুই করে না। তারপরও হঠাৎ করে বর্তমানে তারা চার তলা ভবনের বাড়ি নির্মাণ করছেন। তাদের এ বাড়ি বানানোর টাকার উৎস কোথায়? এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর। তারা বলেন বাড়ি বানানোর টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলেই তাদের প্রতারণার বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আকালু বলেন আমার ছেলেরা চুরি ডাকাতি করে নাই। তারা পরিশ্রম করে টাকা কামাই করেছে। টাকা থাকলে বর্তমান সময়ে অপরাধ করেও পার পাওয়া যায়। যদি এ বিষয়ে কিছু জানতে হয় খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা পাইলট বাবুকে ডাকতেছি বাবুরঠে শোনেন। বাবু হামার সবকিছু দেখাশুনা করে। সৈয়দপুর থানার এ এস আই মো: জুয়েল বলেন, মামলা তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। যারা থাই ভিসার সাথে জড়িত আছে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা পাইলট বাবু বলেন শুকারু ও বিষাদু শুনেছি তারা থাই ভিসা জালিয়াতির সাথে জড়িত। তার বাবা আকালু অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতে হিমসিম খেত। তার ছেলেরা সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল নিয়ে বর্তমানে দাপিয়ে বেড়ায়।