ঢাকার ৪ খাল উন্নয়নে ব্যয় হবে ৯ শ’ কোটি টাকা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৯ মে ২০২৪, ০০:৪৩
রাজধানীর শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৮৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর মধ্যে ৮.৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে মাণ্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি টাকা। মাণ্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির আওতায় ভূমি উন্নয়ন, খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ, বাই সাইকেল লেন ও এপ্রোচ রোড নির্মাণ, তিনটি এম্পিথিয়েটার নির্মাণ, ব্যায়াম করার সেড-ফোয়ারা-ওয়াকওয়ে-ঘাট নির্মাণ, ৩২টি পথচারী পারাপার সেতু ও ছয়টি গাড়ি চলাচল সেতু নির্মাণ, বসার বেঞ্চ নির্মাণ, শিশুদের খেলার জায়গা-ফুডকোর্ট ও কফিশপ নির্মাণ, আরসিসি রিটেনিং ওয়াল ও ঢাল সুরক্ষা নির্মাণ, দৃষ্টিনন্দন সুরক্ষা বেষ্টনী ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর, জিরানি, মাণ্ডা ও কালুনগর খালের উভয় পাড়ে (উভয় পাড় মিলে মোট ৩৯.৬ কিমি. দৈর্ঘ্য) ব্যাপক বৃক্ষরোপণের যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তার মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
গতকাল মুগদা এলাকার শাপলা ব্রিজ-সংলগ্ন ‘মাণ্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূরে তাপস। পরে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র বলেন, আমরা জানি, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঢাকা শহরের জন্য যে সবুজায়ন বা বনায়নের প্রয়োজন সেই মানদণ্ড পর্যন্ত আমরা পূরণ করতে পারিনি। এই মাণ্ডা খালের পাড় দিয়ে আমাদের প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৫ হাজার গাছ রোপণ করব। যার মাধ্যমে এই এলাকায় একটি সুন্দর ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তার সাথে সাথে আমাদের শহরের জন্য সবুজায়ন ও বনায়নের যে কার্যক্রম সেটা আরো বেগবান হবে, ত্বরান্বিত হবে। কিন্তু এই খালগুলো এবং আদি বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ইনশা আহ্বাহ আমরা সবুজায়নের সেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হতে পারব।
আগামী বছরের জুনের মধ্যে খালগুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, খালগুলো নিয়ে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার মধ্যে মাণ্ডা খাল সবচেয়ে বড় (৮.৭ কিমি.)। এরপরে শ্যামপুর (৪.৭৮ কিমি.), জিরানি (৩.৯ কিমি.) এবং কালুনগর (২.৪ কিমি.) খাল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মাণ্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির কাজ শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের সবগুলো কাজ শুরু হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকাবাসী একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করবে এবং আগামী বছরের জুনে একটি আমূল পরিবর্তন আসবে। সেভাবেই আমাদের সব পরামর্শক, ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, আগামী এক বছরের মধ্যে খালগুলোর দৃশ্যমান ও নান্দনিক পরিবর্তন আমরা নিয়ে আসতে পারব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা