রংপুরে মানববন্ধনে কারাবন্দী বিডিআর স্বজনদের আহাজারি
- রংপুর অফিস
- ০৬ মে ২০২৪, ০০:০৫
ছয় বছরের মেয়েকে রেখে গিয়েছিলেন কর্মস্থলে দিনাজপুরের সুইহারির বিডিআর নায়েক ওয়াজেদ আলি। এখন ২২ বছর বয়সেও মেয়ে পাচ্ছে না বাবাকে। অসহায় স্ত্রী শরিফা বেগমের এমন আর্তি চলছিল বক্তব্যে। দুই মাসের সন্তানকে রেখে কর্মস্থলে গিয়ে বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় ফেঁসে যান পঞ্চগড়ের সিপাহি বাবুল মিয়া। সেই মেয়ের বয়স এখন ষোলো। কিন্তু পাশে নেই বাবা। তাই স্ত্রী রোজিনার আহাজারি থামানো যাচ্ছিল না।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় রোববার (৫ মে) রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন তারা। রংপুর বিভাগের কারাবন্দী বিডিআর সদস্যের মুক্তির দাবিতে একটি অন্যরকম মানববন্ধন দেখল রংপুরবাসী। হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা দুঃখের আর্তি। কণ্ঠে আহাজারি আর চোখ বেয়ে ঝরা জল। এরা সবাই বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত হওয়ার পরও বিস্ফোরক মামলার অগ্রগতি না থাকায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দী ৫৫৭ বিডিআর জওয়ানদের স্বজন। মানববন্ধনে বিডিআর সদস্যদের মা, বাবা তাদের মতো অসংখ্য বিডিআর সদস্যের স্ত্রী, মা, বাবা, সন্তানসহ স্বজনরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মানববন্ধনে উপস্থিত সবার হাতের প্ল্যাকার্ডেই দুঃখের আর্তি। তাতে লেখা, স্বামী ছাড়া সন্তান নিয়ে আর কত দিন অপেক্ষা করব? ১৯ দিন চাকরির বিনিময়ে ১৬ বছরের জেল, আর কত? বাবা ছাড়া ১৬ বছর মানবেতর জীবন যাপন করছি, আর কত? এ ধরনের শত প্ল্যাকার্ডে স্বজনদের আহাজারি। তারা চান প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হোক বিস্ফোরক মামলার অগ্রগতি ও নিষ্পত্তি। মুক্তজীবনে ফিরে আসুক তাদের অভিভাবকরা।
এসময় বক্তারা বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা মামলায় খালাস পেলেও বিস্ফোরক মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় তাদের স্বজনরা ষোলো বছর ধরে কারাগারে। ধুঁকে ধুঁকে অনিশ্চিত খাদ্যনিরাপত্তাহীন জীবন যাপন করছেন তারা। তাদের ফেরার অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।
মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলনেও একই দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা মামলায় ৮২৪ জন বিডিআর সদস্য খালাস পান। এর মধ্যে ৫৫৭ জন রংপুর বিভাগের। কিন্তু বিস্ফোরক আইনের মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দী এসব বিডিআর জওয়ান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা