বিএনপি নেতারা হতাশ নন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৩ মে ২০২৪, ০০:১৩, আপডেট: ০৩ মে ২০২৪, ০০:১৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নন, বিএনপি নেতারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড্ডা থানা বিএনপির উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন।
ওবায়দুল কাদের সাহেবরা হতাশা থেকে শ্রাবণের বৃষ্টির ধারার মতো অনর্গল মিথ্যা কথা বলছেন এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলেঙ্কারি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয়স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। ‘আমরা তো আছি জেলে আসা যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। আমরা কোনো জুলুম নির্যাতনের কাছে মাথানত করব না।’ আওয়ামী লীগ শ্রমিকদের কল্যাণে কিছুই করেনি দাবি করে রিজভী বলেন, শ্রমিকরা ন্যায্য দাবিতে, বেতনের দাবিতে, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করতে গেলে চারজন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছে এই সরকার। শ্রমিক নেতা আমিনুল হককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। রানা প্লাজায় প্রায় হাজারো শ্রমিক হতাহত হলো, তাজরিন গার্মেন্টসে ১০০ শ্রমিক প্রাণ হারালো সেগুলো মানুষ ভুলে যায়নি।
দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খড়া চলছে অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।
শহীদ জিয়া খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচ ব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিলেন সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে জানিয়ে রিজভী বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সব কিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ বি এম এ আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, উত্তর বিএনপির সদস্য তহিরুল ইসলাম তুহিন, সদস্য জাহাঙ্গীর মোল্লা, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিশু, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হামিদ, বিএনপি নেতা আবদুল কাদের বাবু, এমদাদুল হক এমদাদ, এম এ বাশার, দিপক কুমার দাস, আবুল কাশেম, বরকত আলী, আব্দুর রশিদ, ছাত্রদল নেতা আশরাফুল আসাদসহ নেতৃবৃন্দ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা