১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কিশোরগঞ্জে বাম্পার ফলনে ১২ লাখ টন বোরো ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা

নিকলীর বাজিতপুরের জমি থেকে ধান কাটছেন কৃষক : নয়া দিগন্ত -

কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে চলতি মৌসুমে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, গত রোববার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় হাওরে শতকরা ২২ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়েছে। কৃষকের সুবিধার্থে জেলায় মোট ৭০০টি কম্বাইন হার্ভেস্টার মেশিন রাখা হয়েছে। ৭০ ভাগ ভর্তুকি এই ধান কাটার মেশিনের পেছনে দেয়া হয়েছে। এই মেশিনের ফলে হাওরে ধান কাটা থেকে শুরু করে মাড়াই, ঝাড়াই এমনকি বস্তাবন্দীর সুবিধা কৃষকের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছে। এর ফলে স্বল্প খরচে কৃষকরা সময় বাঁচিয়ে সহজেই ঘরে ধান তুলতে পারছেন। এতে কৃষকদের খরচ ও পরিশ্রম দুটোই অনেকাংশে বেঁচে গেছে বলেও কর্তৃপক্ষ দাবি করেন।

জেলার বৃহৎ জোয়ানশাহী হাওরের কৃষক আলি হোসেন, আজিজুল, শহিদুল ও কামরুলসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা চলতি মৌসুমে ভালো ফলনের পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুবিধার কথা জানান। ধানের বাজারদর ভালো পেয়ে, হাওরে ধান কাটার মেশিন পেয়ে, তুলনামূলকভাবে শ্রমিকের ভোগান্তি কমে আসার কারণে স্থানীয় কৃষকরা উৎফুল্ল। তবে সাধারণ শ্রমিকদের মনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের ভাষ্য, যেখানে একদিনে হাজার শ্রমিক কাজ করতে পারত সেখানে দুটো মেশিনেই তা সহজে সেরে নিচ্ছে। শ্রমিকদের হাহাকারের এমন চিত্র সরেজমিনে দেখা গেছে। বিশেষ করে চলতি মৌসুমে উত্তরবঙ্গের শ্রমিকদের তেমন একটা দেখা মেলেনি এই বৃহৎ হাওরে। যেখানে এক সময়ে হাওরের বাথানে জিরাতিদের সাথে এই মৌসুমে হাজার হাজার অস্থায়ী শ্রমিকদের থাকা খাওয়া হতো। এখন আর তেমনটি নেই বললেই চলে। বহিরাগত শ্রমিকের সংখ্যা এখানে এখন কমে গেছে। তাদের চাহিদা তুলনামূলক কমে গেছে বলেও তারা জানান।

স্থানীয় সুশীল সমাজের বক্তব্য ও যন্ত্র নিঃসন্দেহে কৃষকদের উপকার বয়ে এনেছে। তবে কপাল পুড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমিকদের। এদের বিকল্প কাজের সুযোগ তৈরি করে দেয়া হলে হাহাকার কমে আসবে। দেশে বর্তমানে মাটি কাটা থেকে শুরু করে ধানকাটা এমনকি কৃষির বহু প্রকারের কাজ মেশিনেই হচ্ছে, তাই দিনমজুরের হাহাকার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই মৌসুমে অধিক রোজগারের আশায় বুক যেখানে বসে থাকত আজ আশায় অনেকটাই গুড়েবালি।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস ছাত্তার বলেন, চলতি মৌসুমে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে এক লাখ ৬৭ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। পুরো জেলাতে ৭০০ কম্বাইন হার্ভেস্টার মেশিন নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ২২ ভাগ জমির ধান কর্তন হয়েছে। পুরো জেলাতে ১২ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের আশা প্রকাশ করেন তিনি। বর্তমান এভারেজ সাড়ে ১১ শ’ টাকা দরে ১৩৮ কোটি টাকার ধান উৎপাদনের আশা করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
‘আপত্তিকর ভাষা’ ব্যবহারে শাস্তি পেলেন জোসেফ শ্রীমঙ্গলে হত্যা মামলায় প্রেমিক গ্রেফতার জামায়াত নেতা কাজী ফজলুল করিমের মৃত্যুতে ড. রেজাউল করিমের শোক প্রকাশ বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকব : মুন্না আমতলীতে ব্যবসায়ীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় জড়িতদের বিচার দাবি সিরিয়া নিয়ে আশা ও শঙ্কা ইসরাইলের সিরিয়ায় বাশারের পতনে ইসরাইল কতটুকু লাভবান অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ৫৭৯ কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহত ৫ এ দেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের সেবক হয়েই রাজনীতি করতে হবে : সেলিম উদ্দিন এখন সময় শান্তি ও স্থিতিশীলতার : অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

সকল