ক্ষতিপূরণ ছাড়া মুগদা মেইন রোডের দুই পাশের স্থাপনা না ভাঙার আহ্বান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
ক্ষতিপূরণ না দিয়ে মুগদা মেইন রোডের দুই পাশের শত শত বাড়ি ভেঙে ফেললে পথে বসতে হবে বহু মানুষকে। সরকার নিশ্চিয় নাগরিকদের প্রতি এত বড় জুমুল করবে না। তাই ক্ষতিপূরণ ছাড়া স্থাপনা না ভাঙার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে জমির মালিকদের পক্ষে এ এস এম সালাউদ্দিন এ আহ্বান জানান।
তিনি জানান, মুগদা এলাকার প্রধান সড়কের দুই পাশের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে নিজস্ব জমিতে আমাদের পূর্বপুরুষরা এবং আমরা রাজউকের অনুমোদন নিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। মুগদা প্রধান সড়কটি সর্বশেষ ঢাকা সিটি জরিপ অনুযায়ী ৩০ ফুট প্রশস্ত। সম্প্রতি রাজউকের নোটিশের মাধ্যমে জানতে পারি এ সড়ক এটি ৫০ ফুট বা ৬০ ফুট প্রশস্ত করা হবে। নকশা চেয়ে রাজউক থেকে আমাদের অনেককে নোটিশ দেয়া হয়েছে। আবার অনেকে নোটিশ পায়নি। রাজউকের লোকজন জানিয়েছে আমাদের জায়গাসহ বাড়িঘর শিগগিরই ভেঙে ফেলে সড়ক নির্মাণ করবে। কিন্তু তারা জমিগুলো এখনো আইনিভাবে অধিগ্রহণ করেনি। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের জমি কি পরিমাণ অধিগ্রহণ করা হবে তা-ও জানায়নি বা জমি বা জমির উপর স্থাপিত বিল্ডিং বা বাড়ির ক্ষতিপূরণ কী দেয়া হবে তা-ও জানায়নি। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে আজ (রোববার) সড়কের আশপাশের সব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। আমাদের জমিও স্থাপনার ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জোরপূর্বক ভেঙে ফেলার খবরে আমরাসহ এলকাবাসী আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।
এ এস এম সালাউদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণের বিধান রয়েছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তারা বেআইনিভাবেই আমাদের জমি ও স্থাপনা দখল করতে চায়। এ বিষয়ে কিছুদিন আগে আমরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছি। হাইকোর্ট রাজউকের চেয়ারম্যানসহ কর্তৃপক্ষকে আগামী এক মাসের মধ্যে আইনিভাবে আমাদের সাথে বসে বিষয়টি মিটমাট করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই অবস্থায় ক্ষতিপূরণ ছাড়া উচ্ছেদ না করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় ৫০ জনের বেশি বাড়ির মালিক উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা